টিকাকর্মী রবিউলের স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন

শোভনদন্ডী আরফা করিম উচ্চবিদ্যালয়ে এবং শোভনদন্ডী স্কুল অ্যান্ড কলেজে টিকা কার্যক্রম চালান মো. রবিউল হোসেন (হলুদ পাঞ্জাবি গায়ে)
ফাইল ছবি

টিকাকাণ্ডে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট রবিউল হোসেনের স্ত্রী কুলসুমা আকতারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্তে এবার কমিটি গঠিত হয়েছে। কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে স্বামীকে দিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করানোর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

গতকাল বুধবার তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করেন পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সব্যসাচী নাথ। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয় পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালট্যান্ট প্রবাল চক্রবর্তীকে।

এ ছাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা সাদিয়া আকতারকে সদস্যসচিব এবং আশিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রের সহকারী সার্জন রাজীব দেকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে। কমিটি দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে।

সব্যসাচী নাথ বলেন, সিভিল সার্জনের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। হাজিরাসংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়টি তাঁরা তদন্ত করবেন।
৮ আগস্ট সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তদন্ত কমিটি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) মো. রবিউল হোসেন প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে উপজেলার শোভনদণ্ডী ইউনিয়নে দুদিনব্যাপী টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি গণটিকাদানের আগে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদানের প্রমাণ পায়। এরপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে রবিউল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এ ছাড়া তাঁর স্ত্রী স্বাস্থ্য সহকারী কুলসুমা আকতার অনুপস্থিত থাকলেও রবিউল নিজেই স্ত্রীর হাজিরা দিয়ে দিতেন বলে অভিযোগ ওঠে। এসব বিষয়ে সব্যসাচী নাথ আগেই লিখিত অভিযোগ করেছিলেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর।
এ নিয়ে ২ আগস্ট ‘স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে হাজিরা দিতেন রবিউল’ শীষর্ক প্রতিবেদন প্রথম আলো অনলাইনে প্রকাশিত হয়।