চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে দুটি স্থানে ডুবোচর তৈরি হওয়ায় ফেরি চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
চরে ফেরি আটকে গেলে গাড়ি নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। নদীতে জোয়ার হলে ফেরি চলতে পারে। এ কারণে ফেরিতে কম গাড়িবোঝাই করে ফেরিগুলো চালাতে হচ্ছে। গাড়ি পারাপার কম হওয়ায় শরীয়তপুরের আলুর বাজার ও চাঁদপুরের হরিণা ঘাটে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে তিনটি ফেরি যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার করে থাকে। নৌপথের হরিণা-লক্ষ্মীরচর-বেরাচাক্কি চ্যানেল দিয়ে ফেরিগুলো চলাচল করে।
এ পথের শরীয়তপুর অংশের বেরাচাক্কি ও চাঁদপুর অংশের লক্ষ্মীরচর এলাকায় ডুবোচর সৃষ্টি হয়েছে। এক মাস ধরে প্রায়ই ডুবোচরে ফেরি আটকে যাচ্ছে। নদীতে জোয়ার হলে ফেরি চলাচল করতে পারে।
এ নৌপথে আগে প্রতিদিন ৩০০ গাড়ি পারাপার করা হতো। এখন ৮০ থেকে ১২০টি গাড়ি পারাপার করা যাচ্ছে। প্রতিটি ফেরি ১০ থেকে ১২টি গাড়ি নিয়ে চলাচল করত। এখন চার থেকে পাঁচটি গাড়ি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। প্রতিটি ফেরি আগে ২৪ ঘণ্টায় ১২টি বার ট্রিপ দিত। এখন ছয়টি ট্রিপ দিতে পারছে। নদীতে জোয়ারের জন্য ফেরিগুলোকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রামে সহজে যাতায়াত করতে মানুষ এ নৌপথটি ব্যবহার করে। ডুবোচরে ফেরি আটকে থাকার কারণে শরীয়তপুরের আলুর বাজার ও চাঁদপুরের হরিণা ঘাটে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ নৌপথের দুটি স্থানে খনন করার জন্য ১৫ দিন আগে দুটি খননযন্ত্র বসায়। তার মধ্যে বেরাচাক্কি এলাকায় বসানো খননযন্ত্রটি সাত দিন ধরে বিকল হয়ে আছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) চাঁদপুর ব-দ্বীপ অঞ্চলের ব্যবস্থাপক ইমরান আহম্মেদ বলেন, ডুবোচরের কারণে ফেরি চালাতে সমস্যা হচ্ছে। কম গাড়ি পারাপারের কারণে দুই ঘাটে সব সময় যানজট লেগে থাকে। বিআইডব্লিউটিএ ধীরগতিতে চ্যানেলে খনন করছে। দ্রুতগতিতে খনন করার জন্য তাদের অনুরোধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের উপপরিচালক আবদুর রহিম বলেন, চ্যানেলে ডুবোচরের কারণে ফেরি চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে খনন শেষ করে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করতে। আমাদের খননযন্ত্র কম কিন্তু একসঙ্গে অনেকগুলো নৌপথে খননের কাজ চলছে। এ কারণে খননে গতি কম।