তাপপ্রবাহ আরও তীব্র হয়েছে, চলবে কমপক্ষে দুই দিন
দেশে চলমান তাপপ্রবাহ আরও তীব্র হয়েছে। সোমবার বেশির ভাগ এলাকায় প্রচণ্ড গরম অনুভূত হয়েছে। এদিন দেশে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। একসঙ্গে তিন জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘর ছুঁয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আগামী এক-দুই দিনে দেশের কোথাও মেঘ বা বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। ফলে তাপমাত্রা নতুন করে খুব বেশি না বাড়লেও চলমান তাপপ্রবাহ চলবে।
প্রচণ্ড গরমে জনজীবনে অস্বস্তি আরও বেড়েছে। বিশেষ করে বড় শহরগুলোতে বাড়তি তাপমাত্রা আর শহরের কংক্রিটের অবকাঠামোতে জমে থাকা উত্তাপ মিলেমিশে জনজীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে।
সোমবার রাজধানীসহ দেশের বড় শহরগুলোর তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রির কাছাকাছি হলেও গরমের অনুভূতি আরও বেশি ছিল বলে আবহাওয়াবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আক্কু ওয়েদার জানিয়েছে। অন্যদিকে এদিন রাজশাহী, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। এসব জায়গায় গরমের অনুভূতি ছিল প্রচণ্ড। দেশের অন্যান্য এলাকায়ও প্রচণ্ড গরমের অনুভূতি ছিল।
এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রচণ্ড গরমের এই অনুভূতি আরও দুই থেকে তিন দিন চলতে পারে। তবে দেশের অঞ্চলভেদে তা বাড়তে বা কমতে পারে। গরমে কষ্ট আপাতত কমার তেমন সম্ভাবনা নেই।
তবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল সিলেট জেলা। সেখানে ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া নেত্রকোনায়ও ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবারও এসব এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে। ফলে দেশের ওই হাওর এলাকায় গরমের তীব্রতা কিছুটা কম হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, সোমবার রাজশাহী, পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। আর বরিশাল, পটুয়াখালী, দিনাজপুর, নীলফামারী ও রাঙামাটিতে মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বাকি এলাকার ওপর দিয়ে মৃদু দাবদাহ বয়ে গেছে। মঙ্গলবারও এই এলাকাগুলো দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।