সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রায় বাঙালি গ্রামে গতকাল বুধবার দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। একই দিন কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার বধূনগর গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩৫ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দিরাইয়ের রায় বাঙালি গ্রামের জাহির আলী ও আবদুল মালেকের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে দুই পক্ষের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জাহির আলীর পক্ষের চমক আলী (৮০) গুরুতর আহত হন। তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি মারা যান।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়েছ আলম বলেন, চমক আলীর গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত আছে। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। তাঁরা হলেন জালাল উদ্দিন (২৪) ও জয়নাল আবেদিন (২৮)। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার বধূনগর গ্রামের আবুল হোসেন ও আবুল কালাম পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত মঙ্গলবার রাতে কথা-কাটাকাটির জের ধরে আবুল কালাম পক্ষের বাড়িতে আবুল হোসেনের পক্ষ হামলা চালায়। পরদিন সকাল সাড়ে আটটার দিকে আবুল হোসেন পক্ষের নবাব মিয়া নামের এক ব্যক্তি মরিচখেতে নিড়ানি দিতে গেলে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন। পরে উভয় পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে ফসলের মাঠে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় পুলিশ ১০ জনকে আটক করেছে। সংঘর্ষে আহত ৩৫ জনের মধ্যে শহিদুল ইসলাম (১৮), নবাব মিয়া (৩৫), আবদুর রশিদ মিয়া (৭০), জিল্লুর রহমান (২৭) ও রাহেলা বেগমকে (৩৫) আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া মমতাজ উদ্দিন, হাবিবুর রহমান , রাকিব মিয়া , আলম মিয়া , সুমন মিয়া , জহিরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, যোবায়ের মিয়া, পলাশ মিয়া, আক্তার হোসেন, গোলাপ মিয়া, দানা মিয়া , আলমগীর মিয়া ও জাহিদুল ইসলামকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ শহরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু তাহের বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে উভয় পক্ষের ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’