ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা আরও গভীর ও সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকর করার বিষয়ে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেছেন।
রোববার নয়াদিল্লিতে দুই দেশের যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) বৈঠক শেষে প্রচারিত যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। বিবৃতিতে দুই প্রতিবেশীর বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, সহযোগিতা জোরদারের পাশাপাশি দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক স্বার্থে বিভিন্ন বিষয়ের সুরাহা এবং টেকসই সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ওপর দায়িত্ব দিয়েছেন। এ ছাড়া দুই পক্ষ নিরাপদ, দ্রুত এবং টেকসই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রয়োজনীয়তার ওপর পুনরায় গুরুত্ব দিয়েছে।
দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ফোরাম জেসিসির সপ্তম বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। আর ভারতে নেতৃত্ব দেন সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
বৈঠক শেষে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে জয়শঙ্করের বক্তব্য প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যার পরিপ্রেক্ষিতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণকাজে সহযোগিতার বিষয়ে ভারতের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন জয়শঙ্কর।
অভিন্ন নদীর পানিবণ্টনে সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে জয়শঙ্কর বলেন, ‘দুই দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত অভিন্ন নদীর পানি ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের পাশাপাশি সুন্দরবনসহ পরিবেশ সুরক্ষায় আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। পরিবেশ সুরক্ষায় অঙ্গীকার পূরণের স্বার্থে এ বিষয়গুলোতে আমাদের একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন।’ তিনি বলেন, সীমান্তের উন্নত ব্যবস্থাপনা ভারতের প্রধান অগ্রাধিকার। দুই দেশের সীমান্তরক্ষীরা আন্তসীমান্ত অপরাধ দমনে অঙ্গীকারবদ্ধ। এই সীমান্ত যাতে অপরাধমুক্ত থাকে, তা নিশ্চিত করতে অবশ্যই দুই দেশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারের পাশাপাশি উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারের প্রসঙ্গ টানেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা বিবিআইএন (বাংলাদেশ, ভুটান, ইন্ডিয়া ও নেপাল) মোটরযান চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি। বিদ্যুৎ, বিশেষ করে জলবিদ্যুৎ খাতে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’
এ ছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাইবার নিরাপত্তা, স্টার্টআপ ও ফিনটেকের মতো নতুন নতুন ক্ষেত্রে ভারত সহযোগিতা এগিয়ে নিতে চায় বলেও জয়শঙ্কর তাঁর বক্তৃতায় উল্লেখ করেন।