দুর্নীতি রুখতে বড় দুর্নীতিবাজদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। তিনি বলেন, সবাইকে দেখিয়ে দিতে হবে যে আইনের সামনে কোনো অপরাধী শাস্তি ছাড়া পার পাবে না।
গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দ্বাদশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজেরা বল্গাহীন, বেপরোয়া, বেহায়া, নির্লজ্জ ও দুঃসাহসী। তাই তাদের দমন করতে হলে দুদককেও বেপরোয়া হতে হবে। তা না হলে তাদের পরাজিত করা কঠিন হবে।
সভাপতির বক্তব্যে দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘আমরা এক যুগ পার করেছি সত্য, কিন্তু গণমানুষের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি বিবেচনা করলে হতাশ হতে হয়। কারণ, প্রাপ্তির হারটা একেবারে নগণ্য। দুদকে অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা আছে, পদ্ধতিগত সমস্যা আছে, দুর্নীতিও আছে। আমরা চেষ্টা করছি এসব পরিবর্তন করতে। ইতিমধ্যে পদ্ধতিগত অনেক পরিবর্তন এনেছি। এ ধারা অব্যাহত রাখা হবে।’
কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলাম বলেন, ব্যাংক থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া অর্থ ফেরত দিলে তাঁদের প্রতি দুদক নমনীয় থাকবে। না হলে কঠোর আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হবে।
দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দুদকের কমিশনার (অনুসন্ধান) নাসিরউদ্দীন আহমেদ, সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল, মহাপরিচালক মোহাম্মদ মুনির চৌধুরী, মঈদুল ইসলাম, ফরিদ আহমেদ ভূঞা, নূর আহমদ, সামসুল আরেফীন, মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।