
বগুড়ার ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী-ফকিরপাড়া গ্রামের পাকা সড়কে ভাঙন দেখা দেওয়ায় চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে স্থানীয় লোকজনকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। মাত্র এক বছর আগে প্রায় ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এই সড়কের পাকাকরণের কাজ করা হয়।
ধুনট উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১০ জুলাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়ন থেকে আলাহামিদিয়া সড়কের এলাঙ্গী বন্দর থেকে ফকিপাড়া গ্রামের সেকান্দার আলীর বাড়ি পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়ক পাকা করা হয়। শুকরা কনস্ট্রাকশন নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ওই সড়কের ৫০০ মিটার ও লোবা কনস্ট্রাকশন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাকি ৫০০ মিটার ২৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে পাকা করা হয়। এর আগেই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সড়কের দুই পাশের একাধিক স্থানে মাছ চাষের জন্য পুকুর খনন করা ছিল। কিন্তু সড়ক পাকা করার সময় পুকুরগুলোর পাশ দিয়ে ভাঙনরোধে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে এলাঙ্গী বাজারের উত্তর পাশে সোনা প্রামাণিক ও মদন ঘোষের বাড়ির কাছে বৃষ্টিতে দুই পুকুরের পাশে সড়ক ভেঙে যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে।
ফকিরপাড়া গ্রামের নান্নু মণ্ডল বলেন, ঠিকাদার সড়কটি নির্মাণের সময় পুকুরের পাশ দিয়ে ভাঙন ঠেকাতে ব্যবস্থা নেননি। এ কারণে বৃষ্টির পানিতে পুকুর ভরাট হওয়ায় সড়ক ভেঙে বিভিন্ন স্থানে একাধিক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এখন এই সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যান ও মানুষ চলাচল করছেন।
এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম এ তারেক বলেন, এই সড়ক দিয়ে এলাঙ্গী ইউনিয়নের ৮-১০টি গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ প্রতিদিন হেঁটে ও যানবাহন নিয়ে এলাঙ্গী বন্দরে যাতায়াত করেন। এই সড়কের পাশ দিয়ে মাছ চাষের জন্য স্থানীয় লোকজন একাধিক পুকুর আগে থেকে খনন করেন। এ কারণে সড়কে ভাঙনরোধে ইউপির অর্থায়নে কয়েকটি পুকুরের পাশ দিয়ে প্যালাসাইটিংয়ের কাজ করা ছিল। এর মধ্যে মাত্র এক বছর আগে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যলয় থেকে এক কিলোমিটার সড়ক পাকা করা হয়। কিন্তু সড়কটি নির্মাণে নতুন করে ভাঙনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে এখন সড়কে ভাঙন দেখা দিলে উপজেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে জানানো হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, সড়ক নির্মাণে ভাঙনরোধে প্যালাসাইটিং দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। অতিরিক্ত বৃষ্টিতে পুকুরের পানির প্রবল চাপে প্যালাসাইটিংসহ সড়কের দুই পাশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। দ্রুত ভাঙনকবলিত স্থান মেরামত করা হবে।