বিদেশি ফল মাল্টার পর এবার নিলামে তোলা হচ্ছে আপেল। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দরে প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি করা হবে দেড় লাখ কেজি আপেল। সর্বোচ্চ দর হাঁকিয়ে যে কেউ এই আপেল কিনে নেওয়ার সুযোগ পাবেন।  একজনকে ন্যূনতম ৫০ হাজার কেজি আপেল কেনার জন্য দর হাঁকতে হবে।

নিলামে যাঁরা কিনতে আগ্রহী তাঁদেরকে আজ মঙ্গলবার সকালে কনটেইনার খুলে আপেল দেখানো হবে। এরপর বেলা দুইটায় বন্দরের সংরক্ষিত এলাকায় কাস্টমস নিলাম হলে প্রকাশ্য নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ১৩ আগস্ট ৩ লাখ ৬০ হাজার কেজি মাল্টা নিলামে তোলা হয়। ওই পরিমাণ মাল্টা নিলামে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয়।

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, নিয়ম অনুযায়ী জাহাজ থেকে বন্দরে নামানোর ৩০ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস করে নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য খালাস না করলে তাঁকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস না করলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বাস্তবে নিলামে তুলতে দীর্ঘসময় লেগে যায় কাস্টমসের। তবে এবার তিন মাসের মধ্যে খালাস না করায় নিলামে তোলা হল আপেল।

কাস্টমসের সহকারী কমিশনার (নিলাম) মো. আহসান উল্লাহ বলেন, অগ্রাধিকার কর্মসূচির আওতায় এখন ধারাবাহিকভাবে নিলাম হচ্ছে। দ্রুত বিক্রির অনুমোদনও দেওয়া হচ্ছে।

কাস্টমসের নিলাম শাখা জানায়, এসব আপেল আমদানি করেছে চট্টগ্রামের স্টেশন রোডের রেলওয়ে মেন্স সুপার মার্কেটের প্রতিষ্ঠান আজিজিয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। গত মে মাসে চীন থেকে তিনটি চালানে ছয় কনটেইনারে প্রায় ১৫০ টন বা দেড় লাখ কেজি আপেল আমদানি করে প্রতিষ্ঠানটি। নির্ধারিত ৪৫ দিনের মধ্যে খালাস না করায় আপেল নিলামে তোলা হয়েছে।

আজিজিয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের এক কর্মকর্তা বলেন, নির্ধারিত মান অনুযায়ী আপেল সরবরাহ করেনি চীনের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, নিলামে তোলার পরও বন্দর চত্বরে কনটেইনারের সংখ্যা কমছে না। গতকালও বন্দর চত্বরে নিলামযোগ্য কনটেইনারের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৭৯০টি (প্রতিটি ২০ ফুট লম্বা)।