নিয়মিত নিম্ন আদালত ও ৩৫টি ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ চালুর দাবিতে মানববন্ধন

সাধারণ আইনজীবী ঐক্য পরিষদের মানববন্ধন।
ছবি: প্রথম আলো

চলমান ‘সর্বাত্মক লকডাউনে’ আগের মতো হাইকোর্টের ৩৫টি ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ ও নিয়মিত নিম্ন আদালত চালুর জন্য প্রধান বিচারপতির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে সাধারণ আইনজীবী ঐক্য পরিষদ। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে মঙ্গলবার দুপুরে এক মানববন্ধনে পরিষদের নেতারা এ আহ্বান জানান।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে ৭ দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে। পরে তা আরও ২ দিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। নির্ধারিত এই সময় শেষের আগে ২০ এপ্রিল তা আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়।

চলাচলে বিধিনিষেধের মধ্যে ১২ এপ্রিল থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে সপ্তাহে তিন দিন এবং চেম্বার কোর্টে দুই দিন ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে বিচারকাজ চলছে। আর ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে হাইকোর্টে পৃথক ছয়টি বেঞ্চে বিচারকাজ চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে আজ সাধারণ আইনজীবী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে একদল আইনজীবী ওই মানববন্ধন করলেন।  

সাধারণ আইনজীবী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ, জুলহাস উদ্দিন আহমাদ, মো. মোজাম্মেল হক ও পরিষদের সদস্যসচিব রফিকুল হক তালুকদার প্রমুখ অংশ নেন। মেহেদী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

মানববন্ধনে মোমতাজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘হাইকোর্ট বিভাগের ৩৫টি বেঞ্চ ভার্চ্যুয়াল কার্যক্রমের সক্ষমতা অর্জন করেছে। এখন কেন ছয়টি কোর্ট তা বোধগম্য নয়। প্রধান বিচারপতির কাছে নিবেদন, অবিলম্বে হাইকোর্ট বিভাগে ৩৫টি ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চালু করতে হবে। নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের সুযোগ নেই। নিম্ন আদালতে নিষেধাজ্ঞার আবেদনের শুনানি হচ্ছে না।’

নিম্ন আদালতে নতুন দেওয়ানি-ফৌজদারি মামলা করা যাচ্ছে না বলে উল্লেখ করে মোমতাজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির কাছে নিবেদন, নিম্ন আদালতকে সচল করুন। নিম্ন আদালতে যাতে অ্যাকচুয়াল কোর্ট নিয়মিত আদালত চালু হয়—সেই নিবেদন রাখছি।’

সরকারের উদ্দেশে মোমতাজ উদ্দিন আহমদ বলেন, সরকারের কাছে নিবেদন, একটি বছর করোনার কারণে আইন পেশা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। সব পেশার লোকদের প্রণোদনা দিয়েছেন। প্রত্যেক আইনজীবীকে দুই লাখ টাকা করে আর্থিক প্রণোদনা এবং পাঁচ লাখ টাকা করে সুদ ও জামানতবিহীন আর্থিক ঋণ প্রদানের জন্য অনুরোধ করছি।