নেত্রকোনায় বন্যার পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। তবে এখনো কলমাকান্দার সঙ্গে জেলা শহরসহ সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। জেলায় প্রায় ৪৫ হাজারের মতো মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছে। এ ছাড়া তিনটি নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে।

 পানি উন্নয়ন বোর্ডের নেত্রকোনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু তাহের গতকাল সোমবার বিকেলে পাঁচটার দিকে বলেন, কংস নদের জারিয়া পয়েন্টে ৭২ সেন্টিমিটার, উব্দাখালী নদীর কলমাকান্দা পয়েন্টে ৩১ সেন্টিমিটার এবং খালিয়াজুরির ধনু নদের পানি ২৭ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলার ১০টি উপজেলায় এখনো ৪৫ হাজারের ওপরে মানুষ পানিবন্দী আছে। বন্ধ হয়ে রয়েছে ৮৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৮১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে বলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম রিয়াজ উদ্দিন জানান। পানির নিচে আছে ১৩ হাজার হেক্টর জমির আমন ফসল। জেলায় প্রায় ১৩ হাজারের মতো গবাদিপশু খাদ্যসংকটে আছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নেত্রকোনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী দিদারুল আলম তরফদার বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত চারটি সড়কে মেরামতের কাজ চলছে। আর এক থেকে দুই দিনের মধ্যেই কলমাকান্দা উপজেলার সঙ্গে জেলাসহ সারা দেশের যান চলাচল স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

জেলা প্রশাসক মো. মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ৭৩ মেট্রিক টন চাল দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভিজিএফের আওতায় ৯৮ হাজার পরিবারের জন্য ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা ও ১ হাজার ৭৪০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হচ্ছে।