আশা ব্যবসায়ীদের
পর্যটনে মহামারির ক্ষতি কাটবে এই ঈদে
কক্সবাজার, সিলেট, মৌলভীবাজার ও রাঙামাটির হোটেল ও কটেজমালিকেরা জানিয়েছেন, বিপুলসংখ্যক পর্যটক অগ্রিম কক্ষ বুকিং দিয়েছেন।
করোনা মহামারির কারণে সারা বিশ্বের মতোই মুখ থুবড়ে পড়েছিল বাংলাদেশের পর্যটন খাত। করোনার প্রথম বছর ভয়াবহ রকমের খারাপ সময় পার করেছেন হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও ট্যুর অপারেটররা।
২০২১ সালে মোটামুটি ব্যবসা হয়েছে। তবে মহামারির কারণে ২০২০ সালে যে ক্ষতি হয়েছিল, তা পোষানো যায়নি। তবে চলতি বছর দেশি পর্যটন ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াবে বলে প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের। তাঁরা বলছেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে যে পরিমাণ পর্যটক আসবেন, তাতে ক্ষতি অনেকটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে।
‘আমাদের প্রত্যাশা, ঈদ মৌসুমে প্রায় ১০ লাখ পর্যটক দেশের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ভ্রমণ করবেন। অধিকাংশের গন্তব্য কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন, কুয়াকাটা, সুন্দরবন ও সিলেট।’
ঈদের ছুটিতে দেশ-বিদেশে ভ্রমণে যাওয়ার বিষয়টি গত কয়েক বছরে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঈদ ও ঈদ–পরবর্তী সময়ে দেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমান অনেকেই। ইতিমধ্যে কক্সবাজার, সিলেটসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলার পর্যটন এলাকার হোটেল, মোটেল, রিসোর্টগুলোর কক্ষ আগাম বুকিং দিয়ে রেখেছেন পর্যটকেরা। পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ঈদ ও সাপ্তাহিক বন্ধের দিন মিলিয়ে এবার সপ্তাহব্যপী ৯ দিন ছুটি পাওয়া যাচ্ছে। এতে অন্য যেকোনো বারের চেয়ে এবার বেশি মানুষ পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে যাবেন।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা, ঈদ মৌসুমে প্রায় ১০ লাখ পর্যটক দেশের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ভ্রমণ করবেন। অধিকাংশের গন্তব্য কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন, কুয়াকাটা, সুন্দরবন ও সিলেট।’ তিনি বলেন, স্বাভাবিক সময়ে উচ্চবিত্তরা ঈদের ছুটিতে বিদেশে ঘুরতে যান। এবার নানা বিধিনিষেধের কারণে তাঁদের একটি অংশ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের রিসোর্টে যাবেন। ফলে রিসোর্টগুলো ভালো বুকিং পেয়েছে।
ব্যবসা কতটা হবে
পর্যটকদের ঘুরে বেড়ানোর পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকা চার জেলা কক্সবাজার, রাঙামাটি, সিলেট ও মৌলভীবাজারের পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো। এ চার জেলার হোটেল, রিসোর্ট, কটেজ ও ট্যুর অপারেটররা জানিয়েছেন, ঈদ মৌসুমে এসব জেলায় পর্যটন ঘিরে অন্তত ৬৫০ কোটি টাকার ব্যবসা হবে।
ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশি পর্যটকদের প্রথম পছন্দ সর্বদক্ষিণের জেলা কক্সবাজারে অবস্থিত বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত। সমুদ্রের নোনা জলে গা এলিয়ে শীতল হতে যেকোনো মৌসুমেই কক্সবাজারে যান ভ্রমণপিপাসুরা। সমুদ্রসৈকতকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বিশাল পর্যটন এলাকার হোটেল-মোটেলগুলোও তুলনামূলক অন্যান্য জেলার হোটেল-মোটেলের চেয়ে আধুনিক। ফলে পর্যটনকেন্দ্রিক ব্যবসা কক্সবাজারে সবচেয়ে বেশি।
কক্সবাজারের হোটেলমালিকদের প্রত্যাশা, ঈদের পরদিন থেকে টানা সাত দিন পর্যটকে সমাগম থাকবে বিশ্বের দীর্ঘতম এই সমুদ্রসৈকত। এ সময় হোটেল, রেস্তোরাঁসহ পর্যটনসংশ্লিষ্ট নানা খাতে ব্যবসা হবে অন্তত ৫০০ কোটি টাকার।
কক্সবাজার শহরের সাতটি পৃথক হোটেল ও রেস্তোরাঁমালিকদের সংগঠনের সমন্বিত মোর্চা ফেডারেশন অব ট্যুরিজম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ ১৬ দিনে সৈকতে বিপুল মানুষের সমাগম হয়েছিল। এরপর উল্লেখযোগ্য হারে পর্যটকের তেমন সমাগম ঘটেনি। এবারের ঈদের ছুটিতে আবার বিপুলসংখ্যক পর্যটক আসবেন।
ভ্রমণপিপাসুদের অন্যতম পছন্দের স্থান ‘দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশ’ সিলেট। পাহাড়, টিলাবেষ্টিত চা-বাগান, সাদা পাথর ও জাফলংয়ের স্বচ্ছ পানির সুতীব্র আকর্ষণ পর্যটকদের সিলেটে টেনে নিয়ে যায়। এ ছাড়া নীল পানির নদ লালাখাল, বিছনাকান্দি, রাতার গুল, পান্তুমাই, চা-বাগান, বিভিন্ন পাহাড়, ঝরনা স্পটে সব সময়ই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। তবে পর্যটনকেন্দ্রগুলো বর্ষা মৌসুমেই স্বরূপে ফিরে আসে। মেলে ধরে নিজেদের সৌন্দর্য। সিলেট শাহজালাল (রহ.) ও শাহপরান (রহ.)–এর মাজারেও পর্যটকদের ভিড় জমে। ঈদের ছুটিতে এ ভিড় বেড়ে যায় কয়েক গুণ।
সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি মো. আতিক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সিলেটে এবার ঈদুল ফিতর–পরবর্তী সাত দিনে তিন থেকে চার লাখ মানুষ আসতে পারে। এ সময় হোটেল, রিসোর্ট, কটেজ, রেস্তোরাঁ ও ভ্রমণের অন্যান্য অনুষঙ্গ বাবদ শতকোটি টাকার ব্যবসা হতে পারে।
একই অঞ্চলের আরেক জেলা মৌলভীবাজারও পর্যটনে বেশ এগিয়ে। জেলাজুড়ে বন-পাহাড়, হাওর-নদী, চা-বাগানসহ সমতলের অনেক স্থানই পর্যটকদের কাছে টানে। আকর্ষণের প্রধান কেন্দ্রে আছে জেলার ৯২টি চা-বাগান। আছে শ্রীমঙ্গলের বাইক্কাবিল, কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক, বড়লেখায় মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, হাকালুকি হাওর ইত্যাদি। এ জেলার প্রতিটি উপজেলাতেই পর্যটকবান্ধব বিভিন্ন জায়গা আছে। এ ছাড়া আছে খাসিয়া (খাসি) পুঞ্জি, মণিপুরি ও ত্রিপুরাদের গ্রাম। মৌলভীবাজারের পর্যটনকেন্দ্রিক ব্যবসায় ধস নামিয়েছিল করোনা। তবে এবার আগের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে বলে মনে করেন শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেলিম আহমদ। পর্যটন খাতের এই ব্যবসায়ী প্রথম আলোকে বলেন, ঈদুল ফিতরের মৌসুমে মৌলভীবাজারে ৫০ থেকে ৬০ হাজার পর্যটক আসতে পারেন। তাঁর ধারণা, এ সময়ে জেলার পর্যটন খাতে ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকার ব্যবসা হতে পারে।
রাঙামাটি শহরে বেশ কয়েক বছর ধরে পর্যটকের সংখ্যা কমে গেছে। ২০১৭ সালে ভয়াবহ পাহাড়ধস ও পরে করোনার কারণে পর্যটনের ব্যবসায় ধস নামে। ফাঁকে ফাঁকে কিছু পর্যটক এলেও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেননি পর্যটনকেন্দ্রিক ব্যবসায়ীরা। জেলার ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবারের ঈদ তাঁদের জন্য ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। রাঙামাটির সবচেয়ে জনপ্রিয় ভ্রমণের জায়গা হলো সাজেক, কাপ্তাই লেক ও শহরের আশপাশের বিভিন্ন স্থান।
জেলার আবাসিক হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজমালিক সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, ঈদ মৌসুমে কেবল সাজেক ও জেলা শহরের আশপাশের এলাকাতেই এক লাখের বেশি পর্যটক আসবেন বলে তাঁদের আশা। এ সময়ে হোটেল ভাড়া, রেস্টুরেন্ট, কাপ্তাই লেকের ভ্রমণ খরচ মিলিয়ে পর্যটনকেন্দ্রিক পাঁচ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হতে পারে।
আগাম কক্ষ বুকিংয়ের ধুম
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুরা আগেই দেশের বিভিন্ন জেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলোর হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, কটেজ বুকিং দিয়ে রাখছেন। কক্সবাজার, সিলেট, মৌলভীবাজার ও রাঙামাটি জেলার হোটেল ও কটেজমালিকেরা জানিয়েছেন, এপ্রিলের ২৫ তারিখের মধ্যেই অধিকাংশ কক্ষের জন্য আগাম বুকিং দিয়ে রেখেছেন পর্যটকেরা। অন্যান্য সময়ে কক্ষ ভাড়ায় ছাড়ের সুযোগ রাখলেও এবার কোনো মূল্যছাড় দেওয়া হচ্ছে না।
ইতিমধ্যে কক্সবাজারের হোটেল, রেস্তোরাঁসহ বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে সাজসজ্জা ও সংস্কার শেষ হয়েছে। সৈকতের পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, গেস্টহাউসে দৈনিক ১ লাখ ৬০ হাজার পর্যটকের রাতযাপনের ব্যবস্থা আছে। চাপ বেড়ে গেলে হোটেলের কক্ষে পর্যটকদের গাদাগাদি করে রাখতে হয়।
কক্সবাজারের সুগন্ধা সৈকতের পাঁচ তারকা হোটেল সি গালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ ইমরুল ইসলাম ছিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, ঈদের পরদিন থেকে শতভাগ কক্ষে অতিথি থাকবে। ইতিমধ্যে ৭০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। এই ঈদে কক্ষভাড়ার ওপর ছাড় নেই। হোটেলটিতে ১৭৯টি কক্ষে প্রায় ৪০০ জনের থাকার ব্যবস্থা আছে।
সৈকতের তারকা হোটেল ওশান প্যারাডাইস, সায়মন বিচ রিসোর্ট, হোটেল লংবিচ, হোটেল কক্স টুডে, হোটেল কল্লোল, হোটেল মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালসহ আশপাশের ৫০টির বেশি হোটেল, গেস্টহাউস, কটেজ ও রিসোর্টে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতিমধ্যে ৬০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে।
কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান প্রথম আলোকে বলেন, পর্যটকদের হয়রানি রোধে প্রতিটি হোটেলে কক্ষভাড়ার তালিকা টাঙানোর নির্দেশনা দেওয়া আছে। অতিরিক্ত কক্ষভাড়া আদায় করা হলে ট্যুরিস্ট পুলিশের সেবাকেন্দ্রে অভিযোগ করা যাবে। পর্যটকেরা গাড়ি থেকে নামলেই কিছু দালাল লোভনীয় অফার দিয়ে পর্যটকদের চিহ্নিত কিছু রিসোর্ট ও গেস্টহাউসে নিয়ে প্রতারণা কিংবা অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেন। কিছু ইজিবাইক ও টমটমচালক যাত্রীদের গাড়িতে তুলে প্রতারণা করেন। তাঁদের ব্যাপারে পর্যটকদের সতর্ক থাকতে হবে।
সিলেটের ব্যবসায়ীরাও জানিয়েছেন, ঈদ-পরবর্তী সময়ে সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রে ঘুরে বেড়াতে পর্যটকেরা আগেভাগেই বিভিন্ন হোটেল-মোটেল অগ্রিম বুক করে রেখেছেন। অনেকে আবার ঈদের ছুটি নিশ্চিত হওয়ার পর বুক করবেন বলে জানিয়ে রেখেছেন।
হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, কর্টেজের কক্ষ আগাম বুকিং দেওয়ার বিষয়ে একই তথ্য দিয়েছেন মৌলভীবাজার ও রাঙামাটির পর্যটন ব্যবসায়ীরাও।
ভ্রমণে আসা পর্যটকের নিরাপত্তায় প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সন্ধ্যার পর পর্যটকেরা যেন অন্ধকারে ডুবে থাকা সৈকতের তীরের ঝাউবাগানের ভেতরে একাকী কিংবা তিন চাকার যান নিয়ে একাকী মেরিন ড্রাইভ ভ্রমণে না যান, এ ব্যাপারে লোকজনকে সতর্ক করা হচ্ছে। এসব এলাকায় কৌশলে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারানোর আশঙ্কা থাকে
নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে
পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে প্রায় নানা অপরাধের ঘটনা ও দুর্ঘটনা ঘটে। নারী ও শিশু পর্যটকদের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তবে ঈদ মৌসুম ঘিরে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
কক্সবাজারে পর্যটকদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মুহিউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ভ্রমণে আসা পর্যটকের নিরাপত্তায় প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সন্ধ্যার পর পর্যটকেরা যেন অন্ধকারে ডুবে থাকা সৈকতের তীরের ঝাউবাগানের ভেতরে একাকী কিংবা তিন চাকার যান নিয়ে একাকী মেরিন ড্রাইভ ভ্রমণে না যান, এ ব্যাপারে লোকজনকে সতর্ক করা হচ্ছে। এসব এলাকায় কৌশলে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারানোর আশঙ্কা থাকে।
পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, সিলেট মহানগর পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা পুলিশের সমন্বয়ে টহল দল বৃদ্ধিসহ বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরও (ইউএনও) সমন্বয় করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মৌলভীবাজারের পুলিশের পক্ষ থেকেও বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়। জেলার সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া গত শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ঈদের পরদিন থেকে শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ ও মাধবকুণ্ডে ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
[প্রতিবেদনটি তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার এবং প্রতিনিধি, সিলেট ও রাঙামাটি]