পাকিস্তানে ওআইসির জরুরি বৈঠকে যাচ্ছে বাংলাদেশ

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম
ফাইল ছবি

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অনুষ্ঠেয় ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) মন্ত্রী পর্যায়ের জরুরি বৈঠকে অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ১৯ ডিসেম্বর ওআইসির মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। এর আগে ১৮ ডিসেম্বর ওআইসির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বৈঠকে যাচ্ছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনের পর পররাষ্ট্রসচিব প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানের ক্রমে খারাপ হতে থাকা

মানবিক সংকটের বিষয়ে আলোচনার জন্য ওআইসি ইসলামাবাদে জরুরি বৈঠক ডেকেছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এবং আমি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বৈঠকে অংশ নেব।’

ওআইসি বৈঠকের ফাঁকে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কোনো বৈঠকের সম্ভাবনার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ইসলামাবাদ

সফরের সময় পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কোনো বৈঠক হচ্ছে না।

২০১০ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে শেষ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছিল। সেবার পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ একাত্তরের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা, সম্পদের হিস্যা বুঝিয়ে দেওয়া এবং আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ফিরিয়ে নেওয়ার মতো দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত বিষয়গুলো আলোচনায় তুলেছিল। ফলে ওই বৈঠক কোনো রকম অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হয়ে যায়।

ছয় বছর বিরতির পর ২০১৬ সালে পরবর্তী পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক চূড়ান্ত করে শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত হয়ে যায়। সেবার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ডকে কেন্দ্র করে ইসলামাবাদের বৈঠকটি স্থগিত হয়েছিল বলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে। তারা বলছে, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। আর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কে যে টানাপোড়েন তৈরি হয়, তা পরে চরম তিক্ততায় রূপ নেয়।