পাপিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ৮ নভেম্বর

শামীমা নূর পাপিয়া
ফাইল ছবি

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আগামী ৮ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ঠিক করেছেন আদালত।

আজ বুধবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েস এই দিন ধার্য দেন। প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম।

নরসিংদী জেলা যুব মহিলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক পাপিয়া ও তাঁর স্বামীকে গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওই বছরের ৪ আগস্ট দুদক তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করে। ওই মামলা তদন্ত শেষে চলতি বছরের ৩০ মার্চ তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। আদালত আজ বুধবার দুদকের দেওয়া ওই অভিযোগপত্র আমলে নিলেন।

পাপিয়া ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে অভিযোগপত্রে। আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত পাপিয়া ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে দেওয়া দুদকের অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩–এ বদলির আদেশ দেন।

এখন পর্যন্ত র‌্যাবের দায়ের করা অবৈধ অস্ত্র রাখার মামলায় পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুর রহমানকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

অন্যদিকে, অর্থ পাচার বা মানি লন্ডারিং আইনের মামলার তদন্তে সিআইডি ৫ কোটি ৯ লাখ টাকা অবৈধ বা অপরাধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আয়ের অভিযোগ এনেছে।

গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি শামীমা নুর পাপিয়া, তাঁর স্বামী মফিজুর রহমান চার সহযোগীসহ বিদেশে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেন। তখন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড্ডয়নের জন্য অপেক্ষারত একটি উড়োজাহাজ থেকে নামিয়ে এনে তাঁদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

ধরা পড়ার পর পাপিয়াকে নরসিংদী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। সেই সময় পাপিয়া ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি, শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক দুটি মামলা করে র‌্যাব। পরে সিআইডি পাপিয়া, তাঁর স্বামী ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং আইনে একটি মামলা করে।