শহিদ ইসলাম ওরফে পাপুল
ফাইল ছবি

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাংসদ মো. শহিদ ইসলাম ওরফে পাপুলের আসন শূন্য ঘোষণা চেয়ে করা রিটের ওপর চূড়ান্ত শুনানির জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি তারিখ ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির এই তারিখ ধার্য করেন।

রিটটির ওপর আজ (২২ ফেব্রুয়ারি) শুনানির তারিখ ধার্য ছিল। আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ২৫ ফেব্রুয়ারি তারিখ ধার্য করেন।

শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে অসত্য তথ্য দেওয়ার অভিযোগে এই সাংসদের আসন শূন্য ঘোষণা চেয়ে গত বছর রিটটি করা হয়।

সাংসদ শহিদ বর্তমানে কুয়েতে কারাবন্দী। ঘুষ লেনদেনের দায়ে কুয়েতের একটি আদালত তাঁকে সম্প্রতি চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার বা ৫৩ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন দেশটির আদালত।

কুয়েতে মানব ও মুদ্রা পাচারের অভিযোগে শহিদ গ্রেপ্তার হলেও গত মাসে তাঁর সাজা হয় দেশটির বিভিন্ন মহলকে ঘুষ দেওয়ার দায়ে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সাংসদ বিদেশের মাটিতে ফৌজদারি অপরাধে সাজা পেলেন। শহিদ ইসলাম গত বছরের ৬ জুন রাতে কুয়েতের বাসা থেকে আটক হন। কুয়েতে আটকের সাড়ে সাত মাস আর বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর সাড়ে তিন মাসের মাথায় দণ্ডিত হন তিনি।

কুয়েতের আদালতে সাংসদ শহিদের সাজা হওয়ার বিষয়টি চিঠি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাস।

এমন প্রেক্ষাপটে শহিদের সংসদ সদস্য পদ থাকবে কি না, তা নিয়ে এখন দেশে আলোচনা হচ্ছে।

হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে অসত্য তথ্য দেওয়ার অভিযোগ তুলে শহিদের আসনটি শূন্য ঘোষণা চেয়ে গত বছরের ১৬ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবুল ফয়েজ ভূঁইয়া।

রিটটির প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৮ আগস্ট হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ রুল দেন।

রিটের ভাষ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় শহিদ শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর উল্লেখ করেন। অথচ জমা দেন স্নাতক পাসের সনদ। সিয়েরা লিওনের মিলটন মরগাই কলেজ অব এডুকেশন অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে ব্যাচেলর অব সোশ্যাল সায়েন্স ইন ইকোনমিকস বিষয়ে স্নাতক সনদ জমা দেওয়া হয়। যে বিষয়ের ওপর স্নাতক সনদের কথা বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে সে বিষয়ের কোনো বিভাগ নেই। এমনকি তিনি স্নাতকোত্তরের কোনো সনদ দেননি নির্বাচনী হলফনামায়।