পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার মধ্যে সড়ক বিভাজকে ধাক্কা, নারী শ্রমিকের মৃত্যু

লাশ
প্রতীকী ছবি

সাভারের আশুলিয়া ইপিজেড এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলছিল। সে সময়ে ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদ এলাকায় সরে যেতে গেলে সড়ক বিভাজকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সড়কেই পড়ে যান এক নারী। এরপর হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক ওই নারীকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত নারীর নাম জেসমিন বেগম(৩০)। তিনি গোলটেক্স নামের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। ঘটনার সময় ওই নারী কর্মী তাঁর নিজ কারখানায় যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার মধ্যে পড়ে দৌড়ে সেখান থেকে সরে যাওয়ার সময় ধাক্কা লেগে সড়কেই পড়ে যান তিনি।

আজ রোববার সকাল আটটার দিকে ঘটনাটি ঘটে।

ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁর স্বামী মাহাবুব জোয়ারদার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকালে নিজ কারখানায় যাওয়ার পথে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া দেখতে পেয়ে দৌড়ে পালাতে গিয়ে আইল্যান্ডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাবিব ক্লিনিক নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ বক্সের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় অবহিত করা হয়েছে।

ওই নারী খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার খাজুরিয়া গ্রামের মাহাবুব জোয়াদ্দারের স্ত্রী। মাহবুব একই গার্মেন্টসে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করেন। জেসমিন সাতক্ষীরা জেলার আকাম আলী সরদারের মেয়ে।

বর্তমানে আশুলিয়ার মধুপুর দুলাল সরদারের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। এক ছেলে এক মেয়ের মা ছিলেন তিনি।

মেয়ে হাসি খাতুন (১৪) স্থানীয় স্কুলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। ছেলে জিহাব (১০) পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) আবদুল্লাহিল কাফি প্রথম আলোকে বলেন, সকালে কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিক পুরোনো ইপিজেড এলাকায় গেটের সামনে সড়ক অবরোধ করেছিলেন। তখন শিল্প পুলিশের পাশাপাশি থানা-পুলিশও কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। অনেক মানুষ হওয়ায় হুড়োহুড়ির মধ্যে পড়ে যান। তখন কোনো একভাবে জেমসিন আহত হন। ঢাকা মেডিকেলে তাঁকে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কাফি বলেন, লাশের ময়নাতদন্ত হচ্ছে। এরপরই জানা যাবে জেসমিনের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে।