লামার ফাইতংয়ে দুটি অবৈধ ইটভাটার জন্য পাহাড় কাটা হচ্ছিল। ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে তা বন্ধ করে দেন। ছবিটি গতকাল দুপুরে তোলা l প্রথম আলো
লামার ফাইতংয়ে দুটি অবৈধ ইটভাটার জন্য পাহাড় কাটা হচ্ছিল। ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে তা বন্ধ করে দেন। ছবিটি গতকাল দুপুরে তোলা l প্রথম আলো

বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতংয়ে পাহাড় কাটার দায়ে নির্মাণাধীন দুটি ইটভাটাকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শনিবার লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের রোয়াজারপাড়ায় এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন লামার নির্বাহী হাকিম খিন ওয়ান নু।

পাহাড় কাটায় জড়িত নয়জন শ্রমিককেও আটক করেন আদালত। জরিমানা আদায়ের পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

অভিযানে দুটি মাটি কাটার যন্ত্র (এক্সকাভেটর) ও একটি বুলডোজার আটক করা হয় বলে জানান লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন। আনোয়ার হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোয়াজারপাড়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে পাহাড় কাটার সময় হাতেনাতে নয়জন শ্রমিককে আটক করা হয়। তাঁরা হচ্ছেন ইকবাল মাহমুদ, ওসমান গণি, দেলোয়ার হোসেন, নাহিদ, ইদ্রিস, আবুল কালাম, মিজানুর রহমান, আবু হানিফ ও আবদুল কাদের। শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, ইটভাটা দুটির
মালিক লামার ফাসিয়াখালির বাবুল চৌধুরী ও চকরিয়ার বেলাল উদ্দিন চৌধুরী।

বেলাল উদ্দিন চৌধুরী চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরীর ভাই।

ফাইতং ইউপি সদস্য সুইপ্রু অং মারমা জানিয়েছেন, ফাইতং ইউনিয়নে ২৫টি ইটভাটা রয়েছে। বহিরাগত লোকজন এসে সেখানে অক্টোবর থেকে মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত ইট তৈরি করেন। ২০১২ সালে পাহাড়ধসে শুধু ফাইতংয়ে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

 লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী হাকিম খিন ওয়ান নু বলেন, ইটভাটার মালিকদের পাওয়া যায়নি। ভবিষ্যতে এ রকম ইটভাটার জন্য পাহাড় কাটলে মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।