পূর্ববিরোধের জেরে খুন

বগুড়ার শেরপুরে মাদক সেবন নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিরোধের জের ধরে সাতজন মিলে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ইউনিয়ন পরিদর্শক (এফপিআই) সাইদুর রহমানকে (৩৫)। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া মাহবুবুর রহমান (২৩)। গত বুধবার বিকেলে বগুড়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালতে মাহবুবুর রহমান এই জবানবন্দি দেন।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. এরফান জবানবন্দির তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মাহবুবুর রহমান শেরপুর ডিগ্রি কলেজের স্নাতক পর্যায়ের ছাত্র। তিনি উপজেলার ধড়মোকাম গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।
হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরপুর থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আলহাজ উদ্দিন বলেন, মাহবুবুরকে গত ২৭ জানুয়ারি রাতে উপজেলার হামছায়াপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তিন দিনের পুলিশি রিমান্ড শেষে গত বুধবার তিনি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এ ছাড়া এই মামলায় সন্দিগ্ধ হিসেবে উপজেলার শিবপুর গ্রামের তৌহিদুল ইসলামের ছেলে মো. মুরাদুজ্জামানকে (২১) গত ২৬ জানুয়ারি রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, মাহবুবুর জবানবন্দিতে বলেন, সাইদুরের সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সপ্তাহ খানেক আগে মাদক সেবন করা নিয়ে স্থানীয় মাদকসেবী পলাশ নামের এক যুবকের ঝগড়া হয়। এরই জের ধরে গত ২২ জানুয়ারি রাতে উপজেলার দামুয়া গ্রামে একটি সবজিখেতে মাদক সেবনের কথা বলে সাইদুরকে বাড়ি থেকে ডেকে নেওয়া হয়। ওই সময় সাইদুরসহ আটজন ছিলেন। হেরোইন সেবনের পর পুরোনো বিরোধের জের ধরে সবাই মিলে সাইদুরকে ঝাপটে মাটিতে ফেলে ধারালো ছোরা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবার পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সাইদুর রহমান সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার খাসরাজবাড়ী ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিদর্শক পদে কর্মরত ছিলেন। গত শনিবার সকালে পুলিশ শেরপুর উপজেলার দামুয়া গ্রামের একটি সবজিখেত থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সাইদুরের বাবা আনোয়ারুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ বিষয়ে গত ২৪ জানুয়ারি প্রথম আলোয় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।