ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) হস্তক্ষেপে গতকাল সোমবার এক কলেজছাত্রীর (১৬) বিবাহ বন্ধ হয়েছে। বাল্যবিবাহের শিকার থেকে মুক্ত হয়ে মেয়েটি বলেছে, ‘আমার পড়াশোনা করার খুব ইচ্ছে। বিয়ে বন্ধ হওয়ায় আমি খুবই খুশি।’
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিরুজ্জামান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সদস্য ও একজন চৌকিদারকে সর্বদা পর্যবেক্ষণের জন্য মেয়ের বাড়ির আশপাশে রাখা হয়েছে।
এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, দিনাজপুরের বিরল উপজেলার পল্লি চিকিৎসকের (২৫) সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে ঠিক হয়। গতকাল মেয়ের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যার দিকে বরযাত্রী আসার কথা ছিল। এ খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপির চেয়ারম্যান বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানান। ইউএনও পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওসি মো. আমিরুজ্জামান ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ প্রশাসনের লোকজন নিয়ে সকাল ১০টার দিকে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন। মেয়ের পরিবার বিয়ে হবে না জানিয়ে ছেলের বাড়িতে খবর পাঠায়।
মেয়েটির বাবা বলেন, ‘প্রশাসনের অনুরোধে বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। সকল আয়োজন গুটিয়ে নিচ্ছি।’
ওই ছাত্রী বলে, ‘আমি মাস্টার্স পর্যন্ত পড়াশোনা করে কলেজের শিক্ষক হতে চাই। আমাকে আশীর্বাদ করবেন।’
ইউএনও ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, ‘এ উপজেলাকে বাল্যবিবাহমুক্ত করতে সবার সহায়তা চাই। গভীর রাতে বাল্যবিবাহের খবর পেলেও আমি পুলিশসহ ঘটনাস্থলে ছুটে যেতে প্রস্তুত আছি।’