প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ালে ১৪ বছরের জেল ও জরিমানা

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকসহ অন্য কোনো ইলেকট্রনিক মাধ্যমে চলতি মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন অনুযায়ী ১৪ বছর জেল এবং এক কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। এ ছাড়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের যেকোনো ধরনের চেষ্টা চালালে পাবলিক পরীক্ষা আইন অনুযায়ী চার বছর পর্যন্ত জেল দেওয়া হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই আইনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, মূলত চলতি এসএসসি পরীক্ষায় যাতে কেউ এ ধরনের কোনো গুজব না ছড়ায়, সে জন্যই আইন অনুযায়ী কঠোর হওয়ার কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেউ পড়লে, দেখলে বা শুনলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হতে উদ্বুদ্ধ হতে পারেন অথবা যার মাধ্যমে মানহানি ঘটে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি প্রদান করা হয়, তাহলে তার এই কাজ হবে একটি অপরাধ৷
১ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসহ ১০টি বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৫২৩ জন।