প্রার্থী হতে পারছেন না কাদের সিদ্দিকী

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী যে আবেদন করেছিলেন, হাইকোর্ট তা খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে তিনি আর ওই আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে পারছেন না।
বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার এই রায় দেন। রায়ের পর নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী বলেছেন, রায়ের পর টাঙ্গাইল-৪ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠানে আর কোনো আইনগত বাধা থাকছে না। আর কাদের সিদ্দিকীর আইনজীবী বলেছেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা আপিল বিভাগে যাবেন।
পবিত্র হজ নিয়ে মন্তব্যের জন্য আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত এবং মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ার পর টাঙ্গাইল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পদ থেকে লতিফ সিদ্দিকী পদত্যাগ করলে আসনটি শূন্য হয়। ওই শূন্য আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দেন লতিফ সিদ্দিকীর ভাই কাদের সিদ্দিকী। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ঋণখেলাপের অভিযোগে গত ১৩ অক্টোবর তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। এর বিরুদ্ধে তিনি নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে তা ১৮ অক্টোবর খারিজ হয়। এরপর প্রার্থিতা ফিরে পেতে ২০ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন কাদের সিদ্দিকী।
পরে ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে ২১ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল দেন। কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিলে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা ওই রুলে জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে তাঁর মনোনয়নপত্র গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়ে অন্তর্বর্তী আদেশ দেন হাইকোর্ট। এই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে ২ নভেম্বর আপিল বিভাগ বলেন, কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে দেওয়া হাইকোর্টের রুল ৩১ জানুয়ারির মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। ওই সময় পর্যন্ত টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপনির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
এরপর হাইকোর্টে ওই রুলের ওপর শুনানি হয়। আদালতে কাদের সিদ্দিকীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও রাগীব রউফ চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন ইয়াসীন খান। গত ৩১ জানুয়ারি রুল শুনানি শেষে গতকাল রায়ের দিন ধার্য করা হয়েছিল।
গতকাল রায় ঘোষণার পর ইয়াসীন খান সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্ট কাদের সিদ্দিকীর রিট আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় তিনি আর টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে পারছেন না। আইন অনুসারে নির্বাচন হবে। আর রাগীব রউফ চৌধুরী বলেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা আপিল বিভাগে যাবেন।