ফরিদপুরে কুকুরের কামড়ে আহত ১৫, প্রতিষেধক নেই
ফরিদপুর শহরে কুকুরের কামড়ে শিশু, নারী, বৃদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার রাত ৭টা থেকে ১০টার মধ্যে হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক না থাকায় আহত ব্যক্তিরা বিপাকে পড়েছেন।
ফরিদপুর সদর হাসপাতালের নার্স নুরুল ইসলাম বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৪ জন এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ছাড়া মো. লাবলু (৩০) নামের একজন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বাজার থেকে ফেরার পথে কুকুরের আক্রমণের শিকার হই। কুকুরটি খুবই আক্রমণাত্মক ছিল। পরে লাঠি দিয়ে কুকুর তাড়াতে হয়।’
ফরিদপুর সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক গৌতম কুমার সরকার বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, একটি কুকুরের কামড়েই সবাই আহত হয়েছেন। কুকুরটি র্যা বিসে (জলাতঙ্ক) আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে। আহত ব্যক্তিদের জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিন নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নার্স আনসার আলী বলেন, এক মাস ধরে হাসপাতালে অ্যান্টি-র্যা বিস ভ্যাকসিন না থাকায় রোগীদের তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, কুকুর মারার খাতে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এক লাখ টাকা এবং চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। অথচ পৌর কর্তৃপক্ষ গত দুই বছরেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
পৌরসভার সচিব তানজিলুর রহমান বলেন, আগে পাগলা কুকুর নিধন করা হতো। কিন্তু নিধনের পর মাটি দেওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় এ কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। এখন কুকুর নিধনে আইনগত নিষেধজ্ঞাও রয়েছে। তাই কুকুরের কামড়ে যাতে জলাতঙ্ক না ছড়ায়, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।