বগুড়ায় চার স্থানে পত্রিকাবাহী গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল

হরতাল-অবরোধের আওতামুক্ত হলেও পত্রিকাবাহী গাড়িতে হামলা বন্ধ হয়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে বগুড়ার শেরপুর ও শাজাহানপুর উপজেলার চারটি স্থানে প্রথম আলো ও দৈনিক করতোয়া পত্রিকাবাহী দুটি গাড়ি অবরোধকারীদের কবলে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাজাহানপুরের ফটকি ব্রিজ এলাকায় রাত সোয়া একটার দিকে যানবাহন ভাঙচুরের সময় প্রথম আলো ও করতোয়া পত্রিকাবাহী দুটি গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়েন অবরোধকারীরা। সেখান থেকে ১৫ মিনিট দূরত্বে আঁড়িয়া বাজার এলাকায় পৌঁছালে আবারও হামলার শিকার হয় পত্রিকাবাহী গাড়ি দুটি।
এরপর শেরপুর উপজেলার ছোনকা এলাকায় গাড়ি দুটি পিকেটারদের কবলে পড়ে। সেখানেও গাড়ি দুটি লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়েন অবরোধকারীরা। সবশেষে বামুনিয়া এলাকায় গাড়ি দুটি লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয়। তবে এসব ঘটনায় গাড়ি দুটির কোনো ক্ষতি হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও একাধিক গাড়িচালক অভিযোগ করেন, ঘটনাস্থলের আশপাশে কোথাও পুলিশ ছিল না। এই সুযোগ নিয়ে অবরোধকারীরা যানবাহন ভাঙচুর করেন। তবে পুলিশ দাবি করছে, বামুনিয়া ও ছোনকাসহ শেরপুরের দক্ষিণ এলাকায় রাতে পুলিশের যে গাড়ি থাকার কথা ছিল, সেটি ঘটনার সময় প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে উপজেলার দশমাইল এলাকায় অবস্থান করছিল। আর অন্য গাড়িটি ছিল শেরপুর পৌর শহরের ধুনট রোড মোড় এলাকায়।
প্রথম আলো পত্রিকাবাহী গাড়ির চালক মো. জিল্লুর রহমান বলেন, হামলাকারীদের হাতে লাঠিসোঁটা ছিল। দৈনিক করতোয়া পত্রিকাবাহী গাড়ির চালক বলেন, অবরোধকারীদের হামলার আতঙ্কের মধ্যে প্রতিরাতে তাঁদের গাড়ি চালাতে হয়।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই অবরোধকারীরা পালিয়ে যান। ফের এ রকম ঘটনা ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুর রহমান দাবি করেন, শেরপুরের ওই এলাকায় তাঁদের পিকেটিং নেই। কারা এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাও তিনি জানেন না।