প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে আর কেউ কোনো খেলা খেলতে পারবে না। মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ কখনো ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। বাংলাদেশ যে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, ইনশা আল্লাহ সেভাবেই এগিয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ রূপকল্প ২০২১ নির্ধারণ করে মধ্যম আয়ের দেশ গড়ে তোলার যে ঘোষণা দিয়েছিল, সে অনুযায়ী আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয়, গড় আয়ু ও সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সবচেয়ে বড় কথা, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। আজ শতভাগ বিদ্যুৎ দেওয়ার মাধ্যমে সব ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বালানোর মাধ্যমে আমরা আলোর পথে যাত্রা করতে সক্ষম হয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১–এর বাংলাদেশ কেমন হবে, সেই প্রেক্ষিত পরিকল্পনাও আমরা প্রণয়ন করে দিয়ে গেছি এবং পাশাপাশি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা করেও তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। এক শ বছরের জন্য ডেল্টা প্ল্যান করে তার কিছু কিছু আমরা বাস্তবায়ন করে দিয়ে যাচ্ছি। যাতে এই ব-দ্বীপ অঞ্চলের মানুষ প্রজন্মের পর প্রজন্ম সুন্দর এবং উন্নত জীবন পেতে পারে।’
সবার জন্য অন্তত একটি ঘর করে দেওয়ায় তাঁর সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশে একটি মানুষও আর ভূমিহীন বা গৃহহীন থাকবে না এবং ইনশা আল্লাহ সেটা আমরা নিশ্চিত করব। এ পথে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি এবং এভাবেই বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলব।’
মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া এবং অনুষ্ঠানের আয়োজক মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্যসচিব ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সরকারের পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।