মানুষের জীবনমানে পরিবর্তন এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে বাংলাদেশ যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে, তার সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন চীনের প্রেসিডেন্ট। কোভিড মহামারিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছিল, তা চীন কখনো ভুলবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে চীনের সহায়তার কথা বলেন চিন পিং। বাংলাদেশের কমবেশি ৯৭ শতাংশ পণ্য এখন চীনে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাচ্ছে বলেও জানান তিনি। ২০১৬ সালে বাংলাদেশে নিজের সফরের কথা উল্লেখ করে সি চিন পিং বলেন, চীন ও বাংলাদেশের বন্ধুত্ব প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে স্থায়ী হবে বলে তিনি আশাবাদী।
এই আয়োজনেই চীনের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর একটি আবক্ষ ভাস্কর্য উপহার দেওয়া হয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে।
বঙ্গবন্ধুর কথা স্মরণ করে সি চিন পিং বলেন, একজন মানুষ তাঁর সারা জীবন দেশ ও মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন। তাঁর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন ১৬ কোটি মানুষের এক হয়ে থাকার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে। আজকের দিনে বাংলাদেশের মানুষ শ্রদ্ধাভরে তাঁকে স্মরণ করছে।
সি চিন পিং বলেন, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’, বঙ্গবন্ধুর এই নীতিই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলকথা আজও। বঙ্গবন্ধু চীনের দীর্ঘদিনের ও প্রকৃত বন্ধু। ১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে তিনি চীন সফর করেছিলেন। চীনের নেতা মাও সে তুং এবং অন্যান্য নেতার সঙ্গে তিনি মৈত্রীর সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন।
চীন–বাংলাদেশ সম্পর্কের পেছনে সব নেতা ভূমিকা রেখেছিলেন, তাঁদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন সি চিন পিং।
চীন–বাংলাদেশের বন্ধুত্ব প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অব্যাহত থাকবে বলে তিনি বক্তব্যের একপর্যায়ে উল্লেখ করেন।