‘বাংলা কিছুটা বুঝি, সামনের দিনে বাংলায় কথা বলার ইচ্ছা’

বাংলাদেশে পৌঁছেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের নতুন হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী
প্রথম আলো

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছেন, তিনি বাংলা ভাষা কিছুটা বুঝতে পারেন। তবে বলতে পারেন না। ভবিষ্যতে বাংলা ভাষা শিখে এই ভাষায় কথা বলার ইচ্ছা পোষণ করেছেন তিনি। করোনা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় স্থলপথে এ দেশে পৌঁছে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতের নতুন হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী সোমবার সকাল ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছান। এখান থেকে ঢাকায় রওনা হওয়ার আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারতের নিকটতম প্রতিবেশী বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট ও আরও বাড়াতে কাজ করব।’
সস্ত্রীক বাংলাদেশে আসা নতুন হাইকমিশনার আরও বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য এমন একটি দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশে এসেছি। দুই দেশের অত্যন্ত উন্নত সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে চাই।’ একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘আমি বাংলা কিছুটা বুঝতে পারি। তবে বলতে পারি না। বাংলা শিখতে চাই। সামনের দিনে আপনাদের সঙ্গে বাংলায় কথা বলার ইচ্ছা আছে।’

আখাউড়া চেকপোস্টে ভারতীয় হাইকমিশনারকে বাংলাদেশে স্বাগত জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নূর এ আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উল আলম ভূঁইয়া, সহকারী পুলিশ সুপার (কসবা সার্কেল) মিজানুর রহমান প্রমুখ। এ ছাড়া সেখানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জি ও দ্বিতীয় সচিব শুভাশীষ সিনহা।
নতুন হাইকমিশনারকে পেঁয়াজ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের চাহিদার ভিত্তিতে ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানির বিষয়টির একটি সমাধান খোঁজা হবে। শিগগির এর একটি সমাধান পাওয়ার আশা রাখি। চিকিৎসাসহ অন্যান্য জরুরি ভিসার প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে করা হবে।’ ভ্রমণ ভিসা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও এ দেশের মানুষ আমাদের বন্ধু। যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য ভিসা ব্যবস্থা চালু করা আবশ্যক। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ভিসা ব্যবস্থা এখনই চালু করা যায় কিনা তাও ভেবে দেখা হবে।’
বাংলাদেশে আসার আগে বিক্রম দোরাইস্বামী দিল্লি থেকে ২ দিন আগে ত্রিপুরায় পৌঁছান। সেখানে তিনি ত্রিপুরার রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্য সচিব, ত্রিপুরা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। নিশ্চিন্তপুরে তিনি আগরতলা-আখাউড়া রেল সংযোগ পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া ফেনী নদীর ওপর নির্মাণাধীন মৈত্রী সেতু পরিদর্শন করেন। সোমবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্ব ভারত দুই দেশের মৈত্রী বন্ধনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়ার আন্তরিক চেষ্টা থাকবে। নৌ, রেল ও সড়ক পথের উন্নয়ন এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।

আরও পড়ুন