বাউফলের সেই যুবলীগ নেতা কারাগারে

অবশেষে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সূর্য্যমণি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনিচ হাওলাদারকে (৩৫) আজ রোববার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাস পর বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ফিরলেন তাঁদের বাড়িতে।

আনিচকে কারাগারে পাঠানোর খবরে এলাকায় মিষ্টি বিতরণের খবর পাওয়া গেছে।
এক নারীর দায়ের করা একটি চাঁদাবাজি মামলায় আনিচসহ আরও আটজন আজ পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত আনিচের জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অন্য আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেন।

আদালতের বিচারক ছিলেন আমিরুল ইসলাম। বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন কমল দত্ত।

স্থানীয় বাসিন্দা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সূর্য্যমণি ইউনিয়নের ইন্দ্রকূল গ্রামের বাসিন্দা মো. ইসমাইল হাওলাদারের স্ত্রী মোসা. হামিদা বেগম গত মার্চ মাসে পাকা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে ২৪ মার্চ আনিচ ও তাঁর লোকজন গিয়ে তাঁর (হামিদা) কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

এই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাঁর বসতঘরে তাঁরা তালা লাগিয়ে দেন। সেই থেকে তিনি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। এ ঘটনায় হামিদা ৩ মে আনিচকে প্রধান আসামি করে আটজনের নাম উল্লেখ করে একটি চাঁদাবাজি মামলা করেন।

এ নিয়ে ২২ এপ্রিল প্রথম আলোতে ‘বাউফলের চারটি পরিবার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।