বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় বাবাকে বিয়ে দেওয়ার কথা বলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে চাচাকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার রাত নয়টার দিকে উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নের কুমলাই গাববুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম দিদারুল আলম মল্লিক (৫০)। তিনি উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নের কুমলাই গাববুনিয়া গ্রামের ইউনুস মল্লিকের ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নিহত দিদারুলের চাচাতো ভাই আবদুস সাত্তার মল্লিককে (৪৫) আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রামপালের কুমলাই গাববুনিয়া গ্রামের দিদারুল আলম মল্লিক ও আবদুস সাত্তার পরস্পর চাচাতো ভাই। দুজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। কয়েক বছর আগে আবদুস সাত্তারের স্ত্রী মারা যান। বুধবার রাতে দিদারুল তাঁর চাচাতো ভাইয়ের ছেলে আবু বক্করকে ডেকে তাঁর বাবা সাত্তারকে বিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। চাচার এমন কথা শুনে আবু বক্কর ক্ষুব্ধ হন। এ সময় বাবাকে সঙ্গে নিয়ে দিদারুলকে লাঠিসোঁটা দিয়ে পেটাতে শুরু করেন আবু বক্কর। একপর্যায়ে আবু বক্কর ঘর থেকে দা এনে দিদারুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান। বাড়ির লোকজন গুরুতর আহত দিদারুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দিন বলেন, বাবা-ছেলে মিলে দিদারুলকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনার জড়িত আবদুস সাত্তারকে আটক করে। আর তাঁর ছেলে আবু বক্করকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবদুস সাত্তার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।