বাবুলের দুই সন্তানকে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদনের আদেশ কাল

মাহমুদা খানম

সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম খুনের মামলায় তাঁদের দুই সন্তানকে শিশু আইন মেনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশনা চেয়ে করা আবেদনের ওপর আগামীকাল বুধবার আদেশের জন্য দিন রেখেছেন হাইকোর্ট।
শিশুদের দাদা ও চাচার করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের এ দিন ধার্য করেন। শুনানিকালে আদালত বলেন, কোনো একটি গোষ্ঠী চাচ্ছে মামলাটি বিলম্বিত করতে। যাঁকে খুন করা হলো তাঁর পরিবারের কি বিচার পাওয়ার অধিকার নেই?

ওই খুনের মামলায় এর আগে গত ১৬ মার্চ দুই সন্তানকে শিশু আইন মেনে সতর্কতার সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ। এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট আবেদন (রিভিশন) করেন বাবুলের বাবা আবদুল ওয়াদুদ ও বাবুলের ভাই হাবিবুর রহমান। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।

পরে আইনজীবী শিশির মনির প্রথম আলোকে বলেন, শিশু আইন অনুসারে শিশুদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় সমাজসেবা কর্মকর্তা, শিশুদের অভিভাবক ও শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তাকে উপস্থিত থাকতে হবে। তবে ১৬ মার্চ দেওয়া আদেশে এই বিষয় উল্লেখ না থাকায় হাইকোর্টে আবেদনটি করা হয়।

মাহমুদা হত্যার পরদিন ২০১৬ সালের ৬ জুন তাঁর স্বামী বাবুল বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পিবিআই এই মামলায় গত বছরের ১২ মে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। একই দিন বাবুলের শ্বশুর ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন পাঁচলাইশ থানায় আরেকটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করা হয়। মোশাররফ হোসেনের করা মামলায় পিবিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিলে ২০২১ সালের ৬ মার্চ আদালত তা গ্রহণ করেন। অন্যদিকে বাবুল আক্তারের করা মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালত গ্রহণ করেননি।

আদালতের নির্দেশে গত বছরের ৩ নভেম্বর থেকে মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই।
২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে নগরের জিইসি মোড় এলাকায় খুন হন মাহমুদা খানম। এ ঘটনায় বাবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। গত বছরের ১২ মে পিবিআই এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। একই দিন বাবুলের শ্বশুর বাদী হয়ে বাবুলকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় পিবিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। এটি আদালত গ্রহণ করেন। তবে বাবুলের করা মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে।