তাজমেরী এস ইসলাম
ছবি সংগৃহীত

বিএনপি করার কারণেই দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক তাজমেরী এস ইসলামকে নাশকতার ‘বানোয়াট ও ভিত্তিহীন’ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)৷ তাজমেরীর গ্রেপ্তারের ঘটনাকে ‘লজ্জাজনক ও উদ্বেজনক’ বলে মন্তব্য করেছে সংগঠনটি৷

আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন ইউট্যাবের সভাপতি এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব মো. মোর্শেদ হাসান খান৷ তাঁরা দুজনই বিএনপিপন্থী শিক্ষক ও দলটির কেন্দ্রীয় নেতা৷

২০১৮ সালের নাশকতার এক মামলায় তাজমেরীকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়৷

ইউট্যাবের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় অধ্যাপক তাজমেরী এস ইসলামকে তাঁর বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার আদালতে নেওয়া হলে জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক ও উদ্বেজনক৷ আমরা শিক্ষকসমাজ এমন কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাই৷ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতার জন্য সর্বনাশা নীতি অবলম্বন করেছে৷ এই নীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে—হুকুমবাদ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে চিরদিনের জন্য বিরোধী দল ও ভিন্নমতের অস্তিত্বের অবসান ঘটানো৷ এই সরকার বিরোধী দল দমনে হয়রানি, জুলুম-নির্যাতন, মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার ইত্যাদিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে৷’

ইউট্যাবের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মিথ্যা অভিযোগে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীসহ দেশের গুণীজনদের কারান্তরীণ রাখার অর্থ হচ্ছে গণতন্ত্রকে চিরদিনের জন্য নির্বাসিত করা৷ জোর করে ক্ষমতা ধরে রাখতে গিয়ে সরকার বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে৷ বিএনপির রাজনীতি তথা বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাস করাটাই যেন তাজমেরী ইসলামের অপরাধ৷ এ জন্যই তাঁকে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ দেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই৷ মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার বর্তমান সরকার আগেই ভূলুণ্ঠিত করেছে৷ শাসকগোষ্ঠী দেশে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে৷ তবে সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন এই সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে৷