বিএনপি লকডাউন নিয়ে অপপ্রচারে নেমেছে: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

টিকা নিয়ে অপরাজনীতি করে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন লকডাউন নিয়ে অপপ্রচারে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত কয়েকটি সাংবাদিক সংগঠন ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে করোনার সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওবায়দুল কাদের তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির দ্বিচারী বক্তব্য মানুষের ঘরে অবস্থানকে নিরুৎসাহিত করতে পারে। আসলে কি বিএনপি চায় না, করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসুক?’

‘দেশে গণতন্ত্র নেই’ বলে বিএনপির নেতাদের অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন করে বলেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে কী ভূমিকা পালন করেছে? পদে পদে বাধা সৃষ্টি করে অগণতান্ত্রিক চর্চা করে তারা এখন গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা সেজেছে।’

দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা ও দুর্নীতিকে বিএনপি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল বলে মন্তব্য করেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিএনপি যতই পেছন থেকে দেশের এগিয়ে যাওয়াকে টেনে ধরে রাখতে চায়, তারা সফল হবে না। কারণ, জনগণ এখন উন্নয়নমুখী। আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়ার যে সংগ্রাম, তা সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতায় সফল হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, জনগণ বিএনপির পশ্চাৎমুখী রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করে শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ আগামী বিনির্মাণের রাজনীতির পক্ষে দাঁড়িয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অসহায় মানুষের জন্য ইতিমধ্যে শেখ হাসিনার সরকার প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। কারণ জনগণের জন্যই রাজনীতি করেন শেখ হাসিনা। তাই জনগণের স্বার্থে কখন কী করতে হবে, তা বঙ্গবন্ধুকন্যা ভালোই বোঝেন। আর এ জন্যই তিনি আজ দেশের জনগণের আস্থার ঠিকানা, নির্ভরতার বাতিঘর।

অপরদিকে বিএনপি জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে তাদের অসহায়ত্ব নিয়ে রাজনৈতিক বুলি দিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি জনগণকে ভয় পায় বলেই জনমানুষের পাশে দাঁড়ানোর সাহস হারিয়েছে।

দেশকে বিএনপিশূন্য করাই সরকারের লক্ষ্য—বিএনপির নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিএনপি শূন্য করা নয়, সরকার চায় বিএনপি সত্যিকার অর্থে একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পালন করুক।

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই বিএনপি সহিংসতা, ষড়যন্ত্র আর অপরাজনীতি ছেড়ে জনমানুষের কল্যাণে ইতিবাচক রাজনৈতিক ধারায় ফিরে আসবে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, অপরিণামদর্শী ও জনবিরোধী কর্মসূচির কারণেই বিএনপির রাজনীতি এখন গভীর সাগরে রাডারবিহীন জলযানের মতো। তারা এখন পথহারা পথিক।

অনুষ্ঠানে ধানমন্ডি প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মজিদ প্রমুখ।

আরও পড়ুন