গুলিতে বাংলাদেশি যুবক মনিরুল ইসলামকে (২৫) হত্যার দায় স্বীকার করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) দুঃখ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আজ বুধবার উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে কোম্পানি পর্যায়ের পতাকা বৈঠকের পর বিজিবির ২৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুর রহিম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গরু আনার জন্য গত সোমবার মধ্যরাতে মনিরুলসহ কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী ও রাখাল পুটখালী সীমান্তের ইছামতী নদীর পাড়ে অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় বিএসএফ সদস্যদের ধাওয়া খেয়ে সবাই পালিয়ে গেলেও মনিরুল তাঁদের হাতে আটক হন। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে গুলি করে হত্যা করেন।
মঙ্গলবার সকালে ঘটনা জানার পর বিজিবি এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফ এর কাছে প্রতিবাদপত্র পাঠায়। ওই পত্রে আজ পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফ এর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দুপুরে যশোরের শার্শা উপজেলার চরেরমাঠ সীমান্তে দুই দেশের শূন্যরেখায় এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভারতের পক্ষে বিএসএফ এর পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অংরাইল ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার কিশোর ও বাংলাদেশের পক্ষে বিজিবি’র পুটখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ফরিদ উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে বিজিবির ২৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুর রহিম সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে হত্যার দায় স্বীকার করে দুঃখ ও অনুতাপ প্রকাশ করেছেন বিএসএফ প্রতিনিধি। তবে তিনি দাবি করেছেন, রাতে একদল লোক বিএসএফ এর সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় বিএসএফ আত্মরক্ষার্থে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মনিরুল নিহত হন।
আবদুর রহিম বলেন, ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সীমান্তে গুলি করে মানুষ হত্যা করা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এ ধরনের ঘটনা যাতে পুনরায় না ঘটে, সে জন্য বিএসএফকে দৃঢ়ভাবে বলা হয়েছে।
বিজিবির এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এখন পরবর্তী পদক্ষেপের ব্যাপারে আমরা বিএসএফ এর সঙ্গে ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে বিএসএফকে আহ্বান জানানো হয়েছে।’