বিচারক বদল, মঞ্জুর হত্যার রায় ঘোষণা নিয়ে সংশয়

মেজর জেনারেল এম আবুল মঞ্জুর হত্যা মামলার রায় ঘোষণার ছয় দিন আগে বিচারক পরিবর্তন করা হয়েছে। ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ১০ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় রায়ের দিন ধার্য আছে। এই আদালতের বিচারক হোসনে আরা আকতারকে বদলি করে খন্দকার হাসান মাহমুদ ফিরোজকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে মঞ্জুর হত্যা মামলার রায় হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি আসাদুজ্জামান খান প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমান বিচারককে বদলি করা হয়েছে। তাঁর স্থলে খন্দকার হাসান মাহমুদ ফিরোজকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি মামলার বিষয়বস্তু জানেন না, তাই নতুন করে যুক্তিতর্ক শুনানির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। তাই ১০ তারিখে রায় ঘোষণা হবে কি না, এ নিয়ে সংশয় রয়েছে।
গত ২৯ জানুয়ারি বিচারক বদলিসংক্রান্ত আদেশ দেওয়া হয়। গত বছর বিচারক হোসনে আরা আকতারকে বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। গত ২৪ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হওয়ার পরও আদালত ২২ জানুয়ারি অধিকতর শুনানির দিন ধার্য করা হয়। ২২ জানুয়ারি মামলায় রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করা হয়।
এ মামলার আসামি পাঁচজন। সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল লতিফ ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শামস। এর মধ্যে শেষ দুজনের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত আছে।
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক সেনা অভ্যুত্থানে তত্কালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন। তখন চট্টগ্রামে অবস্থিত সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার স্টাফ (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার ছিলেন এম আবুল মঞ্জুর। জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর আত্মগোপনে যাওয়ার পথে মঞ্জুরকে পুলিশ আটক করে। এরপর মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে ১ জুন গভীর রাতে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মঞ্জুরের ভাই আইনজীবী আবুল মনসুর আহমেদ চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। ১৯৯৫ সালের ২৭ জুন এরশাদসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।