বিচারের রায় নির্বাচনেপ্রভাব ফেলতে পারে

মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিচারের রায় আগামী সাধারণ নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। ধর্মীয় কট্টরপন্থী ও উদারপন্থীদের মধ্যকার মতাদর্শগত বিরোধও নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে।
গত সোমবার লন্ডনে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের ইনস্টিটিউট অব কমনওয়েলথ স্টাডিজ এবং এশিয়ান অ্যাফেয়ার্স সাময়িকীর প্রকাশনা পলিটিক্যাল ইসলাম অ্যান্ড দ্য ইলেকশন্স ইন বাংলাদেশ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে আলোচকেরা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের সিনেট ভবনের কোর্ট রুমে অনুষ্ঠিত হয় এই প্রকাশনা অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আগ্রহী বিদেশি সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক ও গবেষকদের উদ্দেশে বইটি লিখেছেন ইনস্টিটিউট অব কমনওয়েলথ স্টাডিজের ভিজিটিং ফেলো এবং বিবিসির সাবেক বাংলাদেশ সংবাদদাতা ফ্রান্সিস হ্যারিসন।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক কামাল আহমেদ, অ্যামনেস্টির বাংলাদেশ-বিষয়ক গবেষক আব্বাস ফয়েজ, নৃতাত্ত্বিক ও লেখক দেলোয়ার হোসেন এবং নিউ এজ ইসলাম-এর প্রধান সম্পাদক সুলতান শাহিন।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের বিরোধে ‘আদর্শগত দ্বন্দ্বের চেয়ে’ সুবিধাবাদিতার প্রাধান্যই বেশি। রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধির পরিণতিতে এ দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছে।
কামাল আহমেদ বলেন, গত বছর রামুতে সংখ্যালঘুদের ওপর সংঘটিত সহিংসতা এবং চলতি বছর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়কে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ও মুঠোফোন প্রযুক্তি কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে কট্টরপন্থী ইসলামি দলগুলো তাদের দক্ষতার প্রমাণ দেখিয়েছে। আব্বাস ফয়েজ বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে একাত্তরের বর্বরতার শিকার পরিবারগুলোর ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকারের পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অধিকার নিশ্চিত করাও প্রয়োজন।