বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়: রাত আটটার পর দোকানপাট বন্ধ রাখতে কঠোর হচ্ছে সরকার
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সারা দেশে রাত আটটার পর দোকান, শপিং মল, মার্কেট ও কাঁচাবাজার বন্ধ রাখার বিষয়টি কঠোরভাবে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ বিষয়ে শ্রম আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শ্রম ও কর্মসংস্থানসচিবকে চিঠি দিয়েছে।
জানতে চাইলে চিঠি পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে শ্রমসচিব মো. এহছানে এলাহী প্রথম আলোকে বলেন, রাত আটটার পর দোকানপাট বন্ধ রাখার বিষয়টি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। ইতিমধ্যে আগামী রোববার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে সভা ডাকা হয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকীর সই করা শ্রমসচিবকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিজনিত বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬–এর ১১৪ ধারার বিধান কঠোরভাবে প্রতিপালন করে সারা দেশে রাত আটটার পর দোকান, শপিং মল, মার্কেট, বিপণিবিতান, কাঁচাবাজার ইত্যাদি খোলা না রাখার বিষয়টি যথাযথভাবে নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়।
শ্রমসচিব বলেন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। এ জন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও সভা করা হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন শুক্রবার রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সারা পৃথিবী সংকটপূর্ণ মুহূর্ত অতিক্রম করছে। সেই ক্ষেত্রে রাত আটটায় বন্ধ করলে সরকার যদি মনে করে কোথাও সাশ্রয় হবে, তাহলে আমাদের খুব বেশি আপত্তি নেই। কারণ, সংকটে আমরা সরকারের পাশে দাঁড়াতে চাই।’
তবে তাঁর মতে, দুপুর ১২টায় দোকান খুলে রাত ৯টায় বন্ধ করার ব্যবস্থা করলে ভালো হবে। যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, এতে যানজট কম হবে। কারণ, দোকানিদের সকাল ১০টার মধ্যে দোকান খোলার জন্য তাড়া থাকবে না। আবার রাত আটটার পর যানজট কিছুটা কমে যাওয়ার পর ব্যবসায়ী, দোকানমালিক ও কর্মীরা বাসায় ফেরা শুরু করবেন।