বিস্ফোরণের পূর্বলক্ষণকে কখনো অবহেলা নয়

সম্প্রতি রাজধানীর মগবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রাণহানির ঘটনায় আবদ্ধ ঘরে গ্যাস জমে থাকা এবং গ্যাসলাইনের ত্রুটি নিয়ে মানুষের মধ্যে ভীতি তৈরি হয়েছে। এর আগে গত বছর নারায়ণগঞ্জে গ্যাস-সংযোগের ত্রুটি থেকে বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন ৩৪ জন। প্রতিটি বিস্ফোরণের পরই সরকারি সেবা সংস্থাগুলোর গাফিলতি নিয়ে আলোচনা হয়। কিছুদিন পর সব থেমে যায়। এরপর আরেকটি দুর্ঘটনা ঘটলে আবার হইচই শুরু হয়—এটি যেন অলিখিত নিয়ম হয়ে গেছে। গ্যাস দুর্ঘটনা কেন, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কী সতর্কতা দরকার—এসব বিষয় নিয়ে লিখেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া

রাজধানীর মগবাজারে ওয়্যারলেস গেট এলাকায় বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলের একটি তিনতলা ভবনের পেছনের অংশ ধসে পড়ে। গত ২৭ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ফাইল ছবি

আবাসিক এলাকায় গ্যাস লিকেজের (সংযোগ–বিতরণ লাইনে ছিদ্র, ত্রুটি) ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। আমেরিকার মতো উন্নত দেশে বছরে কয়েক লাখ গ্যাস লিকেজের রিপোর্ট করা হয়। গ্যাস লিকেজের কারণে বড় ধরনের বিস্ফোরণও সেখানে ঘটেছে, তবে এর সংখা তুলনামূলকভাবে কম।

গত বছর নারায়ণগঞ্জে মসজিদের গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনা এবং অতি সম্প্রতি মগবাজারে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণে গ্যাসের সম্পৃক্ততা জনমনে গ্যাস লিকেজের ব্যাপারে ভীতি এবং আশঙ্কা তৈরি করেছে। ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫-১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ১৮ হাজার ৮২৬টি দুর্ঘটনা গ্যাস লিকেজের কারণে ঘটেছে। ন্যাশনাল বার্ন ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর তাঁরা ২০ হাজার আগুনে পুড়ে যাওয়া রোগীর চিকিৎসা করেন, যার অধিকাংশ গ্যাস লিকেজ এবং রান্নাঘরের আগুনের শিকার। এ ছাড়া ২০১৮ সালের একটি জরিপে দেখা যায়, বছরে প্রায় আট লাখ লোক আগুনে পোড়ার জন্য চিকিৎসা নেন, যার অর্ধেকই গ্যাস লিকেজের সঙ্গে সম্পর্কিত।

গ্যাস লিকেজ–সম্পর্কিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে দুর্ঘটনা সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি করা। প্রাকৃতিক গ্যাস (যা মূলত মিথেন গ্যাস) এর ফ্ল্যামেবিলিটি লিমিট বা দাহ্যসীমা ৪ দশমিক ৫ থেকে ১৭ শতাংশ। এর অর্থ হচ্ছে কোনো আবদ্ধ স্থানে কিংবা কোনো ভবনের পকেটে প্রাকৃতিক গ্যাস জমা হয়ে যদি বাতাসে এর পরিমাণ ৪ দশমিক ৫ শতাংশ কিংবা এর ওপরে উঠে যায়, তবে যেকোনো সময় বিস্ফোরণ ঘটার আশঙ্কা তৈরি হয়। গ্যাসের পরিমাণ ১৭ শতাংশের বেশি হলে বিস্ফোরণের আশঙ্কা কমে আসে, কিন্তু বেশির ভাগ সময় ১৭ শতাংশে পৌঁছানোর অনেক আগেই যেকোনো ছোট্ট স্ফুলিঙ্গ বা ইগনিশনের কারণে বিস্ফোরণ ঘটে যায়। এ ছাড়া কোথাও গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে গেলে আশপাশ থেকে বাতাসের অনুপ্রবেশ ঘটে এবং গ্যাসের পরিমাণ দাহ্যসীমার মধ্যে নেমে এসে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ১০ ফুট দৈর্ঘ্যের, ১০ ফুট প্রস্থের এবং ১০ ফুট উচ্চতার কোনো একটি কক্ষে এক কেজি গ্যাস জমা হলেই বিস্ফোরণের আশঙ্কা তৈরি হয়। একইভাবে ৫০ দৈর্ঘ্যের, ২০ ফুট প্রস্থের ও ১০ ফুট উচ্চতার কোনো কক্ষে বিস্ফোরণের জন্য ১০ কেজি গ্যাস জমা থাকতে হবে। স্ফুলিঙ্গ বা ইগনিশনের সংস্পর্শে আসার আগে যত বেশি পরিমাণ গ্যাস জমা হওয়ার সুযোগ পাবে, বিস্ফোরণের মাত্রা তত বেশি বেড়ে যাবে।

মগবাজারে দুর্ঘটনার সময় সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ১০০ থেক ২০০ ফুট দূরত্বেও বিস্ফোরণের কারণে ভূমিকম্পের মতো অনুভূত হয়েছে এবং কাচের জানালা ভেঙে গেছে। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, শুধু প্রাকৃতিক গ্যাসের এতটা বিধ্বংসী ক্ষমতা রয়েছে কি না। এর উত্তর হচ্ছে অবশ্যই রয়েছে। শুধু গ্যাসের লাইনে লিকেজের কারণে বিস্ফোরণ হয়ে সম্পূর্ণ ভবন ভেঙে পড়া এমনকি শহরের একাংশ ধসে যাওয়ার নজিরও রয়েছে। তিন থেকে ছয় কেজির মতো মিথেন গ্যাস যদি কোনো আবদ্ধ স্থানে জমে যায়, তবে তা এক কেজি টিএনটি (বিস্ফোরক পদার্থ) এর সমান বিস্ফোরণের ক্ষমতা রাখে, যা একটি ভবনকে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম।

  • বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের লক্ষ্য হতে হবে দুর্ঘটনার মূল কারণ খুঁজে বের করা।

  • তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না হলে জনগণ প্রকৃত তথ্য ও সত্য জানা থেকে বঞ্চিত হয়।

  • গ্যাস লিকেজের লক্ষণগুলো ভবনের বাসিন্দারা যেমন উপেক্ষা করেন, তেমনি কর্তৃপক্ষও গুরুত্ব দেয় না।

  • পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাসলাইন শনাক্ত করে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তা মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

বিস্ফোরণের পূর্বাভাস

গ্যাস বিস্ফোরণ কি আদৌ প্রতিরোধ করা সম্ভব? এর উত্তরে বলা যায়, গ্যাস লিকেজ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা কঠিন হলেও এর কারণে সংঘটিত দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব। গ্যাস লিকেজ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে যায় না, কিছুটা সময় লাগে পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্যাস জমা হওয়ার জন্য। তাই দুর্ঘটনা ঘটার আগে অধিকাংশ ক্ষেত্রে গ্যাস লিকেজের লক্ষণ প্রকাশ পায়। যেমন নারায়ণগঞ্জের মসজিদের বিস্ফোরণের পূর্বে গ্যাস লিকেজের অভিযোগ করা হয়েছিল। মগবাজারে বিস্ফোরণের আগেও আশপাশের লোকজন গ্যাসের গন্ধ পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন। এটি আসন্ন গ্যাস বিস্ফোরণের পূর্বাভাস।

মগবাজারে দুর্ঘটনার পর আমরা অকুস্থলে কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন সংগঠনকে গ্যাস ডিটেক্টর দিয়ে গ্যাসের মাত্রা শনাক্ত করতে দেখেছি। এ কাজটি গ্যাস লিকেজের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে করা গেলে গ্যাসের উপস্থিতি এবং উৎস শনাক্ত করা সম্ভব হতো এবং ভয়াবহ দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। উন্নত বিশ্বে বেশির ভাগ গ্যাস লিকেজ রিপোর্ট হওয়ামাত্র তা মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। যে কারণে উন্নত দেশে দুর্ঘটনার সংখ্যা কম। কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে আমাদের দেশে গ্যাস লিকেজের লক্ষণগুলো (যেমন গ্যাসের গন্ধ পাওয়া, দমবন্ধ ও বমি বমি লাগা) ভবনের বাসিন্দারা যেমন উপেক্ষা করেন, তেমনি রিপোর্ট করা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দেয় না। ফলে দুর্ঘটনা অনিবার্য হয়ে পড়ে।

এ ছাড়া অবৈধ গ্যাসলাইনে সেফটির (নিরাপত্তা) বিষয়টি আমলে নেওয়া হয় না বিধায় এটি জননিরাপত্তার জন্য একটি বিরাট হুমকি। এ ধরনের সব লাইন অনতিবিলম্বে বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সেই সঙ্গে এলাকা ভিত্তিতে পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাসলাইন শনাক্ত করে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তা মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

দুর্ঘটনা ঘটে গেলে কী করা উচিত

গ্যাস লিকেজের কারণে বিস্ফোরণ হলে দুর্ঘটনার পরও গ্যাসের লিকেজ বা প্রবাহ চলতে থাকার পূর্ণ আশঙ্কা থাকে, যা আরও বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। তাই দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর প্রথম কাজই হবে জরুরি ভিত্তিতে দুর্ঘটনাস্থল বা আশপাশের ভবন সম্পূর্ণভাবে ইভাকুয়েট (খালি) করে গ্যাস লিকেজের উৎস শনাক্ত করে তা বন্ধ করে দেওয়া। যতক্ষণ পর্যন্ত গ্যাসের উৎস বন্ধ করা না যাবে, ততক্ষণ ঘটনাস্থলে জনসাধারণের চলাচল বন্ধ রেখে ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্টের (জরুরি ব্যবস্থাপনা) জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। মগবাজারের ক্ষেত্রে আমরা গণমাধ্যমে জেনেছি, দুর্ঘটনার ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা পরও ফায়ার সার্ভিস এবং বিস্ফোরক অধিদপ্তর ঘটনাস্থলে ৯ থেকে ১২ শতাংশ মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি পেয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে গ্যাস তখনো লিক করছে এবং ৯ থেকে ১২ শতাংশ মিথেন যেহেতু দাহ্যসীমার মধ্যে পড়ে, তাই ভবনের যেকোনো আবদ্ধ অংশ বা পকেটে এটা জমে গিয়ে আবারও বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। অথচ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ঠিক কোন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।

দ্বিতীয়ত, বিস্ফোরণের পর দ্রুত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের যুক্ত করে তদন্ত কমিটি গঠন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সে প্রতিবেদন প্রকাশ করা। গ্যাস বা কেমিক্যাল বিস্ফোরণের তদন্তে কেমিক্যাল বিশেষজ্ঞ সদস্য থাকা বাধ্যতামূলক করা। কেমিক্যাল বিশেষজ্ঞ অন্তর্ভুক্ত না থাকার কারণে চকবাজারের ভয়াবহ কেমিক্যাল দুর্ঘটনার সময়ও আমরা দেখেছি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের লক্ষ্য হবে ‘রুট কজ’ বা দুর্ঘটনার মূল কারণ খুঁজে বের করা, দোষী ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়া নয়। আমাদের প্রবণতা হচ্ছে কোনো ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে তাঁকে শাস্তি দিয়ে দায়মুক্ত হওয়া। দুর্ঘটনার মূল কারণটি দূর করার বিষয়ে আমরা মোটেও মনোযোগ দিই না, ফলে একই ধরনের দুর্ঘটনা বারবার ঘটতে থাকে।

তৃতীয়ত, যতক্ষণ পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত মিডিয়া এবং কর্তাব্যক্তিদের যেকোনো ধরনের অনুমাননির্ভর তথ্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকা অত্যন্ত জরুরি। অনুমাননির্ভর এবং অবৈজ্ঞানিক কথাবার্তা জনমনে বিভ্রান্তি ও অবিশ্বাসের জন্ম দেয় এবং নিরপেক্ষভাবে তদন্ত সম্পন্ন করা দুরূহ হয়ে পরে। যেমন যেকোনো বিস্ফোরণের পর প্রথমেই বলা হয় এসি বার্স্ট (শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্র) করেছে। যাদের এসি সম্পর্কে ধারণা আছে তাঁরা জানেন, এসিতে এমন কোনো কম্পোনেন্ট (উপাদান) নেই, যা বিস্ফোরিত হতে পারে। এসির কম্প্রেসর ফেইলুর আর বিস্ফোরণ এক কথা নয়। কম্প্রেসর ফেইলুরের কারণে জোরে শব্দ হতে পারে, আগুনের ফুলকি তৈরি হতে পারে, এমনকি দু–একজন আহতও হতে পারেন। কিন্তু একটি পূর্ণাঙ্গ বিস্ফোরণের জন্য বিপুল পরিমাণে গ্যাস বা কেমিক্যাল বা অন্য কোনো অতি দাহ্য পদার্থের উপস্থিতি অবশ্যই থাকতে হবে। এসিতে রেফ্রিজারেন্ট হিসেবে যে পরিমাণ গ্যাস থাকে, তা দিয়ে বড় কোনো বিস্ফোরণ সম্ভব নয়।

ভুল ধারণা ও জবাবদিহি

সেপটিক ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণের কথা আমরা শুনেছি। সেপটিক ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণের কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এক–দুজন লোকের হতাহতের কথা শোনা যায় বটে, তবে ভবন ধ্বংস করার মতো মিথেন গ্যাস সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে তৈরি হওয়ার আশঙ্কা অত্যন্ত ক্ষীণ। সুয়ারেজ লাইনের গ্যাস লিকেজের কথাও এসেছে। আমাদের বুঝতে হবে যে অনেক সময় সুয়ারেজ এবং গ্যাসলাইন মাটির নিচে পাশাপাশি অবস্থান করার কারণে গ্যাস লিক করে সুয়ারেজ লাইন দিয়ে ভবনে প্রবেশ করে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। কিন্তু শুধু সুয়ারেজের বর্জ্য থেকে তৈরি মিথেন গ্যাস থেকে এ ধরনের বিস্ফোরণ ঘটার আশঙ্কা নেই বললেই চলে।

সবশেষে বলব, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় বিস্ফোরণের ঘটনায় গঠিত তদন্তের প্রতিবেদন ও সুপারিশ জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয় না। এতে জনগণ যেমন প্রকৃত তথ্য ও সত্য জানা থেকে বঞ্চিত হয়, তেমনি সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের জবাবদিহিও কমে যায়। মগবাজারসহ সাম্প্রতিক কালে সংঘটিত সব দুর্ঘটনার তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করা দেশের জনগণের নিরাপত্তা এবং জনসচেতনতার জন্য অত্যন্ত জরুরি।

ই–মেইল: [email protected]