বৃষ্টিও চলবে আরও কয়েক দিন

ফাইল ছবি

দেশের উত্তরাঞ্চলে শুরু হওয়া অসময়ের বন্যা আরও এক সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে। বন্যার পানি ব্রহ্মপুত্র দিয়ে যমুনা হয়ে পদ্মা দিয়ে বঙ্গোপসাগরে নামতে শুরু করেছে। তবে বন্যার বাড়তি পানি নদীগুলো থেকে নামতে সাত থেকে আট দিন লেগে যেতে পারে। আর এই পানি নামার সময় দেশের কয়েকটি জেলায় নদীভাঙন বাড়াতে পারে। এদিকে বৃষ্টি আরও দুই থেকে তিন দিন চলবে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস এবং আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। আবহাওয়া ও বন্যা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষা বিদায় নেওয়ার সময় বন্যা শুরু হওয়ার উদাহরণ দেশে খুবই কম। এবার সেই ব্যতিক্রম ঘটনাই ঘটেছে। সপ্তাহখানেক আগে বগুড়া ও নওগাঁয় আত্রাই নদের পানি বেড়ে যায়। ধারণা ছিল, দুই থেকে তিন দিনের মাথায় পানি নেমে যাবে। কিন্তু এ সময়ে আরও নদ-নদীতে নতুন করে পানি বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার দেশের ৯টি নদীর ১৪টি পয়েন্টে বন্যার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।

দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে এবং নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। রংপুর, নাটোর, বগুড়া, মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুরে নদীভাঙন শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, এই বৃষ্টি আরও দুই থেকে তিন দিন চলবে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া এ ব্যাপারে প্রথম আলোকে বলেন, এই বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সময় আরেক দফা নদীভাঙন হবে। কয়েক দিনের মধ্যে সে ভাঙন তীব্রতা পাবে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে বন্যার পানি নেমে যাবে।

এদিকে বন্যা ও নদী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারের এই অস্বাভাবিক বন্যার প্রধান কারণ শেষ সময়ে মৌসুমি বায়ু আবারও শক্তিশালী হয়ে ওঠা। সেই সঙ্গে বঙ্গোপসাগরের কয়েকটি লঘুচাপের কারণে বৃষ্টি। বঙ্গোপসাগরে এখনো একটি লঘুচাপ আছে। এর প্রভাবে আরও কয়েক দিন বৃষ্টি হবে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ শনিবার দেশের বেশির ভাগ এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি থাকবে। তবে থাকলেও কয়েকটি জায়গায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। গতকাল সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে রংপুরে—৪৭ মিলিমিটার। আর ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ১২ মিলিমিটার।

এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপের কারণে প্রচুর মেঘ ও দমকা হাওয়া তৈরি হচ্ছে। আগামী সোমবারের মধ্যে বৃষ্টি কমে আসতে পারে।