দেশে ফিজিওথেরাপি স্নাতক কোর্সের জন্য স্বতন্ত্র কোনো কলেজ নেই। মাত্র চারজন শিক্ষক দিয়ে ফিজিওথেরাপি শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।
ফিজিওথেরাপির চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থী এস এম দবির হোসেন বলেন, শিক্ষকের সংকটে শিক্ষার্থীরা সেশনজটে আটকা পড়ে আছেন। এডহক ভিত্তিতে ফিজিওথেরাপি শিক্ষক নিয়োগের সরকারি ঘোষণা থাকলেও নিয়োগ দেওয়া হয় না। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) ছোট তিনটি শ্রেণিকক্ষে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীর ফিজিওথেরাপি শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এতে ঠিকমতো ক্লাসও হয় না।
চূড়ান্ত বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নানা সংকটে ফিজিওথেরাপি শিক্ষার মান কমছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউটে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে গিয়ে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি দলিলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, কলেজ ভবন নির্মাণে আইনি জটিলতার অবসান হলেও ফিজিক্যাল মেডিসিনের কতিপয় চিকিৎসকের বাধায় কলেজের নির্মাণকাজ আটকে আছে। জাতীয় স্বার্থের বিবেচনায় সাড়া দিয়ে কলেজ ভবন নির্মাণের বিষয়টি বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফরিদউদ্দিন বলেন, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশই বাতব্যথায় আক্রান্ত, পক্ষাঘাতগ্রস্ত (প্যারালাইসিস),পঙ্গু ও বিকলাঙ্গ। এমন রোগীদের প্রধান চিকিৎসাই ফিজিওথেরাপি। কিন্তু ফিজিওথেরাপি পেশাকে একটি মহল অবজ্ঞা করছে।