ভারতে পাচারকারী একটি চক্রের সব সদস্য গ্রেপ্তার

প্রায় ১০ মাসের চেষ্টায় এক এক করে ভারতে নারী পাচারকারী একটি চক্রের সব সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আজ সোমবার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।

সিআইডির অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক শেখ রেজাউল হায়দার জানান, এই চক্রের সব সদস্যকে গ্রেপ্তারের ফলে বাংলাদেশের ভেতর থেকে কীভাবে পাচারকারীরা কাজ করছেন, সে সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদে চক্রটি এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২০ নারীকে পাচারের কথা স্বীকার করেছে।

এই চক্রের সব সদস্যকে গ্রেপ্তারের ফলে বাংলাদেশের ভেতর থেকে কীভাবে পাচারকারীরা কাজ করছেন, সে সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদে চক্রটি এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২০ নারীকে পাচারের কথা স্বীকার করেছে।
শেখ রেজাউল হায়দার, সিআইডির অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক

সিআইডি জানায়, এই চক্রে সদস্য নয়জন। পাচারকাণ্ডে অনুসন্ধানের শুরু গত বছরের ২৬ নভেম্বর। রাজধানীর সবুজবাগ এলাকার এক নারী সেদিন থানায় অভিযোগ করেন, তাঁর ১৪ বছরের মেয়েকে দুই ভাড়াটে ফুসলে নিয়ে গেছেন। ভাড়াটে দুজন হলেন জান্নাতুল ওরফে জেরিন (২৫) ও মহেমুজ্জামান ওরফে প্রতীক খন্দকার ওরফে বাবু (২৬)। তাঁরা নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিতেন। গত বছরের ২৩ নভেম্বর স্কুলে যাওয়ার কথা বলে মেয়েটি বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। এই ঘটনায় মামলার পরই সবুজবাগ থানার পুলিশ কাজ শুরু করে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেয়েটি যশোরের বেনাপোলে আছে। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়।

পরে মামলার এক নম্বর আসামি জান্নাতুল ওরফে জেরিন গ্রেপ্তার হন। গত মাসে গ্রেপ্তার হন মহেমুজ্জামান। সিআইডি বলছে, গত শনিবার রাতে পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে চক্রের ৯ সদস্যের সবাই ধরা পড়লেন।

সিআইডি বলছে, জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা বলেন, কিশোরীকে বহনকারী গাড়ি ঢাকা থেকে যশোরে চালিয়ে নিয়ে যান মো. শাহীন। এ সময় ওই কিশোরীকে নেশাজাতীয় কিছু খাওয়ানো হয়। পরে তাকে নিয়ে তোলা হয় রফিকুল ইসলামের বাসায়। পাচারের জন্য আটকে রাখা মেয়েদের দেখাশোনায় রফিকুলকে সহায়তা করতেন বিপ্লব ঘোষ। আক্তারুল ও বাবলুর দায়িত্ব ছিল সীমান্ত পার করে দেওয়া। এই পাঁচজনকে শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

সিআইডি জানায়, এর আগে এই চক্রের খপ্পরে পড়া এক নারী ভারত থেকে পালিয়ে দেশে ফিরেছেন। সেখানে তাঁকে যৌনকর্মে বাধ্য করা হয়েছিল।