হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কর্মকর্তাকে সার্বক্ষণিক উপস্থিত রাখা নিয়ে মতপার্থক্যে সংশ্লিষ্ট দ্বৈত বেঞ্চের নেতৃত্বদানকারী বিচারপতি আজ বৃহস্পতিবার এজলাস ত্যাগ করেন। এরপর বেঞ্চে বিচারকাজ চলেনি।


বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ভার্চ্যুয়াল দ্বৈত বেঞ্চে আজ বৃহস্পতিবার এমন ঘটনা ঘটে। এ বিষয়টি প্রধান বিচারপতিকে বেঞ্চের নেতৃত্বদানকারী বিচারপতি অবহতি করেছেন বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। পরে বেঞ্চটি পুনর্গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, রোববারের হাইকোর্টের কার্যতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এ অনুসারে পুনর্গঠিত বেঞ্চে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চে বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের পরিবর্তে বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক যুক্ত হয়েছেন। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চে বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমান যুক্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চে বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক যুক্ত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের তথ্যমতে, ‘কানিজ ফাতেমা বনাম রাষ্ট্র এবং অন্য’ শিরোনামে ১৭ নভেম্বর ওই বেঞ্চের কার্যতালিকার ৪ নম্বর ক্রমিকে ফৌজদারি বিবিধ মামলা ছিল।ক্রমানুসারে মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে দুদকের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। রাষ্ট্রপক্ষের মাধ্যমে অবহিত হয়ে দুদকের সমন্বয়ক আবদুস সালাম ভার্চ্যুয়ালি আদালতে যুক্ত হন। দুদকের পক্ষে ওই মামলা পরিচালনার জন্য নতুন করে একজন আইনজীবীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে আদালতকে জানান তিনি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুদকের পক্ষ থেকে আইনজীবী না থাকা ও অনেক সময় আদালতের আদেশ দুদকে যথাযথভাবে কমিউনিকেট না হওয়ার বিষয়টি শুনানিতে আসে।

পরে সার্বক্ষণিক দুদকের একজন কর্মকর্তাকে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে রাখতে মৌখিকভাবে বলা হয়। ভার্চ্যুয়াল আদালতের কার্যক্রম শুরুর আগে বেঞ্চটিতে দুদকের একজন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকতেন।

উপস্থিত একাধিক আইনজীবীর ভাষ্যমতে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কার্যক্রম শুরু হলে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, বুধবার আদালত মৌখিকভাবে আদেশ দিয়েছিলেন। তবে এখন কমিশনে জনবলের সংকট আছে। সার্বক্ষণিক একজন লোক দিতে কিছুটা সময় লাগবে। বেঞ্চের নেতৃত্বদানকারী বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, কখনো কখনো দুদকের আইনজীবী থাকেন না।

আদালতের আদেশ যথাযথভাবে দুদকে কমিউনিকেটও হয় না। খুরশীদ আলম খান বলেন, কর্মকর্তা না দেওয়া পর্যন্ত দুদকসংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁকে জানানো হলে, তিনি তা দুদককে অবহিত করবেন।

একাধিক আইনজীবীর ভাষ্যমতে, বেঞ্চের অপর বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমান বলেন, দুদকের কি আর কাজ নেই। একজন অফিসার এখানে এসে বসে থাকবেন। নেতৃত্বদানকারী বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, সেকেন্ড জজ এত কথা বললে সমস্যা। আদালতের ডেকোরাম আছে। একপর্যায়ে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এজলাস ত্যাগ করেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক উপস্থিত ছিলেন।