মহাসড়কের জমি নিলাম নিয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ
রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের একাংশের জমি বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে ১৫ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করায় মহাসড়কের ওই জমি নিলামে তোলার ঘটনা অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী দুই মাসের মধ্যে দুদককে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আগামী ২৬ জুন পরবর্তী শুনানির দিন রাখা হয়েছে।
ওই ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে ২১ এপ্রিল ওই রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ওবায়েদ আহমেদ। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী অনীক আর হক ও মো. তামজিদ হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন।
আদেশের বিষয়টি জানিয়ে পরে আইনজীবী মো. তামজিদ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, মহাসড়কের জমি বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়ার পর তা পরিশোধ না করায় বেসরকারি ব্যাংক ওই জমি নিলামে তোলে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই ওই ঘটনার পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হলে আদালত রুলসহ ওই নির্দেশ দেন।
এর আগে মহাসড়কের জমি বন্ধক রেখে ঋণ ও তা পরিশোধ না করায় জমি নিলামে তোলার ঘটনা নিয়ে ১৪ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব।
র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জালিয়াতির মাধ্যমে রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের একাংশের জমির মালিক হন গোলাম ফারুক নামের এক ব্যক্তি। পরে জমি বন্ধক রেখে বেসরকারি একটি ব্যাংক থেকে নেন ১৫ কোটি টাকার ঋণ। ঋণ পরিশোধ না করায় মহাসড়কের ওই অংশের জমি নিলামে তোলে ব্যাংক।