মহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তি দেওয়া হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লাহর হত্যাকাণ্ড ঘিরে কক্সবাজারে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না ঘটে, সে বিষয়ে সরকার সতর্ক রয়েছে। সরকার সেখানে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটতে দেবে না। একই সঙ্গে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া হবে।
আজ বুধবার দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘মহিবুল্লাহ রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে আইনসম্মতভাবে আন্দোলন করছিলেন। কেউ কেউ হয়তো এটা পছন্দ করেননি। হয়তো সে জন্য তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে। যাঁরা তাঁকে মেরেছেন, আমরা তাঁদের শাস্তি দেব, যাতে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এমনিতে রোহিঙ্গা যাঁরা আছেন, তাঁদের পূর্ণ নিরাপত্তা দিচ্ছি। তাঁদের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তে নজরদারি কড়াকড়ি করেছি, যাতে মাদক ব্যবসা ও মানবপাচারের তৎপরতা বন্ধ হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে এখানে অস্ত্র আসার তথ্য রয়েছে।’
রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা সেখানে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটতে দেব না। অবশ্যই আমরা শক্ত অবস্থান নেব। ভবিষ্যতে যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে, সে জন্য আমরা বসে থাকছি না। প্রয়োজনে যা যা দরকার, আমরা তা করব।’
ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়া রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় জাতিসংঘের যুক্ততার ব্যাপারে সবশেষ অগ্রগতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে আছে। যেকোনো মুহূর্তে তাঁরা সেখানে যাবেন।
ভাসানচর থেকে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা পালিয়ে যাবে না কেন? এটা তো তাদের দেশ না। বিভিন্ন দেশে তাদের আত্মীয়স্বজন আছে। তারা তাদের ডাকাডাকি করছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে, তারা সেখানে যাচ্ছে। তো তারা চলে গেলে আমাদের কী? আমরা তো তাদের দাওয়াত দিয়ে আনিনি!’
সম্পূরক প্রশ্নে রোহিঙ্গাদের ভাসানচর থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে এগুলো একটু বাড়াবাড়ি করে বলা হচ্ছে।