মীর কাসেমের মামলা ট্রাইব্যুনাল-২-এ
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তর করা হয়েছে।
বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
আজ এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্যের জন্য দিন ধার্য ছিল। আসামিপক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম সূচনা বক্তব্য মুলতবির আরজি জানান। এর বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সুলতান মাহ্মুদ।
পরে ট্রাইব্যুনাল আদেশে বলেন, দেখা যাচ্ছে ট্রাইব্যুনাল-২-এর তুলনায় এই ট্রাইব্যুনালে অধিকসংখ্যক মামলা নিষ্পত্তির জন্য জমা হয়ে আছে। দ্রুত নিষ্পত্তির স্বার্থে মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩-এর ১১এ ধারা অনুসারে ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তর করা হলো।
১১এ ধারা অনুসারে বিচারের যেকোনো পর্যায়ে ন্যায়বিচারের স্বার্থে ট্রাইব্যুনাল স্বতঃপ্রণোদিতভাবে অথবা রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এক ট্রাইব্যুনাল থেকে অন্য ট্রাইব্যুনালে মামলা স্থানান্তর করতে পারেন।
২০১২ সালের ১৭ জুন রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল-১ মীর কাসেমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
চলতি বছরের ১৬ মে রাষ্ট্রপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে। ৫ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১ মীর কাসেমের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৪টি অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্যে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ ১২টি এবং হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগ দুটি।
অভিযোগ গঠনের আদেশ অনুসারে, মীর কাসেম আলী ১৯৭০ সালে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের ছাত্র থাকাকালে কলেজ শাখা ইসলামী ছাত্র সংঘের (জামায়াতের তত্কালীন ছাত্র সংগঠন) সভাপতি হন। একাত্তরের ২৫ মার্চ তিনি চট্টগ্রাম শহর শাখা ছাত্র সংঘের সভাপতি হন, ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ওই দায়িত্বে ছিলেন। পরে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র সংঘের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৭ সালে ইসলামী ছাত্র সংঘ নাম বদলে ইসলামী ছাত্র শিবির নামে বাংলাদেশে রাজনীতি শুরু করে। মীর কাসেম ছিলেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।