রক্তনালির বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তামণির হাতে গতকাল অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বায়োপসির জন্য তার হাতের টিউমারের অংশবিশেষ সংগ্রহ করা হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আবুল কালামের নেতৃত্বে আটজন চিকিৎসক অস্ত্রোপচারে অংশ নেন। চারজন ছিলেন অবেদনবিদ।

চিকিৎসকেরা জানান, সকাল ১০টায় মুক্তামণির অস্ত্রোপচার শেষ হয়। তবে অস্ত্রোপচারের ঘণ্টাখানেকের মধ্যে রক্তপাত হলে তাকে আবার অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে নতুন করে ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়।

গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কথা হয় মুক্তামণির বাবা ইব্রাহিম হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মেয়ে এখন ভালো আছে। হাত থেকে রক্ত পড়া থেমেছে। আপনারা সবাই আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন।’

বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘অস্ত্রোপচারের পর মুক্তামণির অবস্থা কিছুটা খারাপ হয়েছিল। তবে সে এখন ভালো আছে।’

সাতক্ষীরায় জন্মের দেড় বছর পর থেকে মুক্তামণির ডান হাতের সমস্যার শুরু। প্রথমে হাতে টিউমারের মতো হয়। কিন্তু পরে হাতটি ফুলে অনেকটা কোলবালিশের মতো হয়ে যায়।  মুক্তামণির রোগ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। ব্যাপক আলোচনা চলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। গত ১১ জুলাই মুক্তামণিকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তামণির চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন। বিনা মূল্যে তার চিকিৎসা চলছে।

গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মুক্তামণির ডান হাতটা রক্ষার চেষ্টা করবেন চিকিৎসকেরা। তবে তা সম্ভব না হলে হাত কেটে হলেও অস্ত্রোপচার করতে হবে। কেননা, অস্ত্রোপচার না করলে ঝুঁকি আছে। মুক্তামণির বাবা-মা মেয়ের হাত কেটে ফেলতে হলেও অস্ত্রোপচারে সম্মতি দিয়েছেন। তাঁদের কাছে মেয়ের হাতের চেয়ে জীবন আগে।