মুরাদের আসন শূন্য ঘোষণা নিয়ে রিটটি ‘অপরিপক্ব’: হাইকোর্ট
অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো সাংসদ মুরাদ হাসানের জামালপুর-৪ আসন শূন্য ঘোষণা নিয়ে করা রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছেন, যেসব কারণে একজন সাংসদের আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়—এমন কারণ এখনো উদ্ভূত হয়নি। এমন ক্ষেত্রে আইনি দিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জাতীয় সংসদের স্পিকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এই পর্যায়ে রিটটি অপরিপক্ব। তাই কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হলো।
সাংসদ মুরাদ হাসানের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বিচারিক তদন্তে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে করা ওই রিটটি শুনানির জন্য উঠলে আজ সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ কথা বলেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ ৮ ডিসেম্বর রিটটি করেন। সাংসদ মুরাদ হাসানের আসন (জামালপুর-৪) শূন্য ঘোষণায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে রুল চাওয়ার পাশাপাশি তাঁর সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বিচারিক তদন্তে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল রিটে । আদালতে রিটের পক্ষে তিনি উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
নারীর প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ, অশালীন ও অবমাননাকর বক্তব্য এবং টেলিফোনে এক চিত্রনায়িকাকে অশালীন মন্তব্য এবং হুমকি দেওয়ার অডিও ফাঁস হওয়ার জেরে গত মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হন মুরাদ হাসান। সেদিনই জামালপুর আওয়ামী লীগের পদ থেকেও তাঁকে সরানো হয়। এরপর মুরাদ হাসান লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান। কোথাও তাঁর খোঁজ না মিললেও বৃহস্পতিবার রাতে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে উপস্থিত হন এবং দুবাই হয়ে কানাডায় যাওয়ার উদ্দেশে মধ্যরাতে এমিরেটসের ফ্লাইটে ওঠেন। কিন্তু কানাডায় ঢুকতে না পেরে আবার দুবাইয়ে ফেরেন এবং গতকাল ঢাকামুখী ফ্লাইটে ওঠার আগপর্যন্ত দুবাই বিমানবন্দরেই ছিলেন বলে জানা গেছে।