মেয়ের সামনেই বাবার মৃত্যু

রাজধানীর ডেমরার কোনাপাড়া বাসস্ট্যান্ডে গতকাল বুধবার সকালে দুটি হিউম্যান হলারের সংঘর্ষে আলী আকবর মিয়া (৫০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। মেয়েকে নিয়ে কলেজে ভর্তি ফরম জমা দিতে যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
ডেমরা থানার উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জানান, সকাল ১০টার দিকে কোনাপাড়ায় একটি লেগুনা ও আরেকটি বড় হিউম্যান হলারের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত আলী আকবরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। আলী আকবর পরিবারের সঙ্গে ডেমরার ডগাইর পশ্চিম পাড়ায় থাকতেন। তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ছিলেন।
আলী আকবরের মেয়ে দিবা সুলতানা জানান, সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভর্তির ফরম জমা দেওয়ার জন্য বাবার সঙ্গে বাসা থেকে বের হন। পথে তাঁদের বহনকারী লেগুনাটি আরেকটি গাড়ির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে থাকে। একপর্যায়ে হিউম্যান হলারের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে তাঁদের লেগুনাটি উল্টে যায়। এতে তাঁর বাবাসহ কয়েকজন আহত হন।
আরেকজন নিহত: অন্যদিকে গতকাল সকাল নয়টার দিকে আদাবরের রিং রোডে সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে লেগুনায় উঠতে গিয়ে পড়ে যান খলিলুর রহমান (৪০) নামের এক ব্যক্তি। এ সময় পেছন থেকে আসা আরেকটি লেগুনা ধাক্কা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি ঠিকাদার ছিলেন। পরিবারের সঙ্গে তিনি মোহাম্মদপুরের টিক্কাপাড়ায় থাকতেন।
গৃহকর্মীর লাশ: ধানমন্ডির ১১ নম্বর সড়কের একটি বাসা থেকে রুনা আক্তার (১৪) নামের এক শিশু গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গৃহকর্তা বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত গ্রুপ ক্যাপ্টেন জিল্লুর রহমান পুলিশকে জানান, ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে রুনা।