মোটরসাইকেলে ওড়না পেঁচিয়ে আহত শিক্ষিকার মৃত্যু

নেত্রকোনায় মোটরসাইকেলে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে পড়ে গিয়ে আহত স্কুলশিক্ষিকা সেলিনা পারভীন (৪৭) মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

সেলিনা পারভীন নেত্রকোনা জেলা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকার দত্ত উচ্চবিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি শহরের কুড়পাড় এলাকার নিজ বাসায় বসবাস করতেন। গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা সদর উপজেলার ফচিকা এলাকায়।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সেলিনা পারভীন গত শনিবার সকালে নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একটি জরুরি বৈঠকে অংশ নেন। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি তাঁর স্বামী শফিকুল ইসলামের সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে বাসায় ফিরছিলেন। বিদ্যালয় থেকে প্রায় ৫০ গজ দূরে মোক্তারপাড়া পৌরসভা এলাকায় পৌঁছালে সেলিনার ওড়না মোটরসাইকেলের চাকায় পেঁচিয়ে যায়। এ সময় তিনি মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তাঁকে রাখা হয়েছিল। আজ সকাল পৌনে ছয়টার দিকে তিনি মারা যান।

দুপুরে সেলিনা পারভীনের মরদেহ নিজ কর্মস্থলে আনা হয়। এ সময় দীর্ঘদিনের সহকর্মীসহ বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী, অভিভাবক, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় গ্রামের বাড়ি ফচিকায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করার কথা রয়েছে।

নেত্রকোনার দত্ত উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান কবির বলেন, সেলিনা পারভীন একজন আদর্শ শিক্ষক ছিলেন। তিনি সময়মতো স্কুলে আসতেন। ছাত্রদের কাছে তিনি ‘শেলি ম্যাডাম’ হিসেবে প্রিয় ছিলেন। তাঁর অকালমৃত্যুতে বিদ্যালয়ের সবাই খুবই ব্যথিত।