মৌখিক পরীক্ষায় জানা গেল তাঁরা লিখিত পরীক্ষা দেননি

প্রতীকী ছবি

লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেননি। তাঁদের হয়ে পরীক্ষা দিয়েছিলেন অন্যরা। এতে খুব ভালো নম্বর পেয়ে উত্তরে যান। কিন্তু বিপত্তি বাধে মৌখিক পরীক্ষায়। এ সময় কোনো প্রশ্নেরই সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারছিলেন না। বোর্ড সদস্যদের সন্দেহ হয়। লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষার হাতের লেখার মিল নেই। শেষ পর্যন্ত ধরা পড়তে হয় ১৫ জনকে।

চাকরির পরীক্ষা নিয়ে এ জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখার অফিস সহায়ক পদের নিয়োগ পরীক্ষায়। গতকাল বুধবার মৌখিক পরীক্ষার সময় ১৫ পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। যাচাই–বাছাই শুরু হলে পালিয়ে যান আরও ২১ পরীক্ষার্থী। আটক পরীক্ষার্থীদের ৫ জনকে জরিমানা এবং ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গত ১১ মার্চ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২৩৭ জনের মৌখিক পরীক্ষা ছিল গতকাল। নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম হলে এই পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুল আহসান বলেন, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সময় কিছু পরীক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়। এ সময় তাঁদের হাতের লেখা যাচাই করে দেখা হচ্ছিল। তখন ২১ পরীক্ষার্থী পালিয়ে যান। তবে বাকি ১৪ জনকে আটক করা হয়। তাঁদের মধ্যে ১১ জন সরাসরি স্বীকার করেছেন, তাঁরা লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেননি। তাঁদের হয়ে প্রক্সি চক্রের সদস্যরা পরীক্ষা দিয়েছেন। অন্য চারজন বলেন, তাঁরা দেখে দেখে লিখেছেন। এসব অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই পরীক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র ফটোশপের মাধ্যমে পরিবর্তন করেছিলেন।

এ ঘটনায় জড়িত প্রক্সি চক্রের সদস্যদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেওয়া হবে বলে জানান নাজমুল আহসান।