মৌলভীবাজারে আরও ১০৬ জনের করোনা শনাক্ত

করোনাভাইরাসের প্রতীকী ছবি

মৌলভীবাজারে নতুন ১০৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৪১ শতাংশের ওপরে। আজ মঙ্গলবার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দৈনিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদন মোতাবেক, জেলা সদরের চেয়ে মৌলভীবাজারের চারটি উপজেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে বেশি।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবে মৌলভীবাজারের ২৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে ১০৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৪১ দশমিক ৯। মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নমুনা প্রদানকারীদের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১০ জনের। এর বাইরে জুড়ীতে ২৭, শ্রীমঙ্গলে ৩০, কমলগঞ্জে ১৯, বড়লেখায় ৩, কুলাউড়ায় ১৪ ও রাজনগরে ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৯৮ জন। নতুন ১০৬ জন নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৮৮২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৪৮২ জন। মারা গেছেন ৫৩ জন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩০ জন। হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন ৩৯ জন। বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১ হাজার ২৬৭ জন।

জেলা সিভিল সার্জন চিকিৎসক চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘উপজেলাগুলোতে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। এতে বোঝা যায়, গ্রামগুলোতে সংক্রমণ ছড়িয়ে গেছে। গ্রামের লোকজনের ধারণা ছিল এটা শহরের অসুখ। সচেতনতা একদম নেই। কিন্তু ভাইরাস তো আর গরিব-ধনী, জাত-ধর্ম বোঝে না। আজ (মঙ্গলবার) কমলগঞ্জের পাত্রখলা, ভানুগাছ বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরেছি। বাজারগুলো মানুষে ভর্তি। মাস্কের বালাই নেই। কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। সচেতন না হলে সংক্রমণ বাড়তেই থাকবে।’

এদিকে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মৌলভীবাজার জেলা সদরসহ সারা জেলায় প্রশাসনের তৎপরতা চলছে।

আজ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার আসমা উল হুসনা জানিয়েছেন, সকাল থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত সারা জেলায় লকডাউন অমান্য করায় ৫৬টি মামলা হয়েছে। এ সময় ৪২ হাজার ৪০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়েছে।