যৌন হয়রানি
প্রতীকী ছবি

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে যৌন হয়রানির শিকার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক শিক্ষার্থীর (১৪) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। যৌন হয়রানির ঘটনায় অপমান ও মামলার আসামিদের হুমকি সহ্য করতে না পেরে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে নিজ বাড়ি থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় মেয়েটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

৭ নভেম্বর মেয়েটি যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিল। পরের দিন তার বাবা বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় দুজনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৭ নভেম্বর স্থানীয় একটি স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী সেই অনুষ্ঠানে যায়। সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে মেয়েটির সঙ্গে একই গ্রামের শাহিনুর ইসলামের দেখা হয়। তখন শাহিনুর তাঁর মোটরসাইকেলে মেয়েটিকে বাড়ি পৌঁছে না দিয়ে স্কুলে নিয়ে যান। সেখানে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মেয়েটিকে স্কুলেরই একটি পরিত্যক্ত কক্ষে নিয়ে যৌন হয়রানি করেন। তখন মেয়েটির চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে সেখান থেকে রফিকুল ও শাহিনুর পালিয়ে যান।

এই ঘটনা মেয়েটি তার বাবা ও স্থানীয় লোকজনকে জানায়। পরদিন ৮ নভেম্বর মেয়ের বাবা রফিকুল ইসলাম ও শাহিনুর ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। মামলার পর থেকেই দুই আসামি ও তাঁদের স্বজনেরা মেয়েটির পরিবারের লোকজনদের হুমকি দিচ্ছিলেন। এসব ঘটনায় ক্ষোভে-দুঃখে মেয়েটি বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে নিজ বাড়ির শোবার ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।

মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নীরেন্দ্র নাথ মণ্ডল বলেন, আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা যায়নি। কি কারণে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে, তার কারণ জানতে তদন্ত চলছে।