২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

তাজিয়া মিছিলে আগুন-তরবারি-ছোরা নিষিদ্ধ করেছে ডিএমপি

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। ছবি: ডিএমপির ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। ছবি: ডিএমপির ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

পবিত্র আশুরায় তাজিয়া শোক মিছিলে আগুন, তরবারি ও ছোরা ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর লালবাগের হোসনি দালান ইমামবাড়ায় পবিত্র আশুরা উপলক্ষে নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যাঁরা এ ইমামবাড়াতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে বা মিছিলে যোগ দিতে আসবেন, তাঁদের আর্চওয়েসহ প্রয়োজনবোধে বিভিন্নভাবে তল্লাশি করা হবে। তল্লাশির পরে তাঁরা ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন। প্রতিটি অনুষ্ঠানের চারপাশে স্পেশাল ব্র্যাঞ্চ (এসবি) এবং গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে। অনুষ্ঠানের আগে ডগ স্কোয়াড দিয়ে পুরো এলাকা সুইপিং করা হবে। অনুষ্ঠানগুলো মনিটর করবে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। এ ছাড়া বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল ও সোয়াত টিম প্রস্তুত থাকবে।

১০ সেপ্টেম্বর আশুরা ‍উপলক্ষে হোসনি দালানসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তাজিয়া মিছিল বের হবে।

আশুরা উপলক্ষে রক্তাক্ত তাজিয়া মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের ধাতব বস্তু বা আতশবাজি ব্যবহার করা যাবে না। নিরাপত্তার স্বার্থে ১২ ফুটের বেশি বড় নিশান মিছিলে ব্যবহার করা যাবে না। ইমামবাড়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পাঞ্জা মেলানো, শক্তির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উচ্চ স্বরে গান বাজানো বা সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা যাবে না।

২০১৫ সালের বোমা হামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, এ মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। আদালত যখন বলবেন, তখন মামলার আসামিদের হাজির করা হবে।

২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর রাতে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে হোসনি দালানে জেএমবির সদস্যরা বোমা হামলা চালায়। এতে এক কিশোরসহ দুজন নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। সেখান থেকে অবিস্ফোরিত দুটি বোমা উদ্ধার করা হয়। ওই হামলার ঘটনায় চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন। প্রথমে মামলাটি চকবাজার থানার পুলিশ তদন্ত করলেও পরে তা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।